পদত্যাগ করার পরই অপসারিত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়! পয়েন্ট কুড়োতে ব্যস্ত তৃণমূল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পদত্যাগ করেননি। প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকায় মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করা হল রাজীব বন্দ্যোাধ্যায়কে। এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ ইস্যুতে এমনটাই জালান নবান্না। যদিও এগিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নিজে জানান যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। এরপর তিনি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছেও পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
কেন অপসারিত হলেন রাজীব?
একজন মন্ত্রী সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ পত্র পাঠাতে হয়। তারপর রাজ্যপালকে সেই পদত্যাগ পত্র পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। তবে নবান্ন সূত্রে খবর, যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজীবের পদত্যাগ পত্র এসে পৌঁছায়নি। তাই সরকারি খাতায় রাজীবকে অপসারিত হিসাবে দেখানো হবে। যদিও রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজীব দাবি করেন যে তিনি মমতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে তুলে দেন পদত্যাগ পত্র।
বিজেপিতে রাজীব?
কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল। সাবধানে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন দলীয় কর্মসূচি। এমনকী মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তিনি গরহাজির ছিলেন। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি শুভেন্দু, লক্ষ্মীরতনদের পথেই পা বাড়াচ্ছেন রাজীব? যদিও সেসব নিয়ে প্রকাশ্যে তিনি কিছুই বলেননি।
কী বলছে বিজেপি নেতৃত্ব?
এই আবহে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূলের তরফে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'এটা রাজীবের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।' অন্যদিকে বিজেপির তরফে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দাবি, 'তৃণমূলে থেকে মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।' প্রথমে তাঁকে রাজীবের ইস্তফা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।' শুভেন্দু, লক্ষ্মীরতনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'আরও অনেকে দল ছেড়ে যাবেন। কারণ তৃণমূলে থেকে পুলিশ, গুন্ডাদের চাপ পড়ছে তাঁদের উপর। কিন্তু রাজীব এখনও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। উনি ভালো মানুষ। বিজেপিতে এলে তাঁকে স্বাগত।'
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য
এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজীবের বিষয়ে বলেন, 'রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। কিন্তু এখনও বিধায়ক পদ এবং দল ছাড়েননি। তাই আমাদের কিছু করার নেই।' তবে তিনি বললেন, 'আমরা অপেক্ষা করব।' তিনি বলেন, 'এরকম মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছেন তৃণমূলের বহু নেতা৷ কিন্তু তাঁরা এখনও বিজেপিতে যোগদান করেননি। তাই আমরা অপেক্ষা করব তার জন্য। তৃণমূলকে সরিয়ে নতুন বাংলা তৈরি করতে আমরা সবাইকে আহ্বান করেছি।'
বাংলা গড়তে যাঁরা যাঁরা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ...
এভাবে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়করা দল ছেড়ে বিজেপিতে আসায় তাতে কি আখেরে লাভ বিজেপির হবে৷ এই নিয়ে দিলীপবাবুর মন্তব্য, 'আমরা আমাদের রাস্তায় চলছি এবং আমাদের যোগদান পর্ব চলছে। এক্ষেত্রে নতুন বাংলা গড়তে যাঁরা যাঁরা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমরা তাঁদের সাহায্য করব৷ বাংলায় পরিবর্তন করতে তাঁদের সঙ্গে নেব।'