রাজীব কড়া নেড়েই চলেছেন তৃণমূলে, বাবুলের এন্ট্রির পর গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় তিনি
রাজীব কড়া নেড়েই চলেছেন তৃণমূলে, বাবুলের এন্ট্রির পর গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় তিনি
প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় হঠাৎ করে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগ দিলেন তৃণমূলে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে কড়া নেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য খুলছে না ঘাসফুল শিবিরের দরজা। তিনি কি না করেছেন দলে ফেরার জন্য। তবু সাড়া পাননি তিনি। তবে চেষ্টার কসুর তিনি করছেন না। বিজেপিতে নতুন ক্যাপ্টেনের আবির্ভাবের দিনেই রাজীব ফের কড়া নাড়লেন তৃণমূলে।
বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়ে হার রাজীবের, তারপরই মোহভঙ্গ
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাটার্ড ফ্লাইটে করে দিল্লি গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের আরও অনেক দাপুটে নেতা-বিধায়করা। তাঁরাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা তলাতায় এসেছিলেন। এরপর নিজের কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়ে হার মানেন রাজীব। মোহভঙ্গ হয় তাঁর।
রাজীব দল ছেড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বুকে নিয়ে
ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই তিনি মমতা-বন্দনায় মুখরিত হতে শুরু করেন। সেই ধারা আজও বর্তমান। তিনি দল ছেড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বুকে নিয়ে। আবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি রাজীব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নিশানা করার পরই তিনি পাল্টা দিয়েছিলেন।
তৃণমূল নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে রাজীব, দরজা খোলেনি তবু
ডোমজুড় বিধানসভা নির্বাচনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হারার পর থেকেই তিনি বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দনের বন্যায় ভাসিয়ে দেওয়ার পর তৃণমূলে ফিরতে রাজীব বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। তৃণমূল নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছিলেন। তবু তৃণমূলের দরজা খোলেনি রাজীবের জন্য।
বিজেপির সমালোচনায় মুখর রাজীব চাল তৃণমূলে ফিরতে!
ফেসবুক পোস্টে নিয়মিত তিনি বিঁধে গিয়েছেন বিজেপিকে। বিজেপির সমালোচনায় মুখর থাকার পাশাপাশি তিনি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক ঝেলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। মুকুল রায়ের দলবদলের পর তিনি উঠে-পড়ে লেগেছিলেন তৃণমূলে ফিরতে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গেও তিনি সাক্ষাৎ করেন। মুকুল রায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়-বিয়োগেও তিনি হাজির হয়ছিলেন।
ভবানীপুরে ভোটে প্রার্থী না দিলেই ভালো করত বিজেপি
সম্প্রতি বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তারপর থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আবার তৃণমূলে ফেরার রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তিনি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়গাথা তুলে ধরেন। বলেন ভবানীপুরে ভোটে প্রার্থী না দিলেই ভালো করত বিজেপি। সেটা হল বিজেপির গুড জেশ্চার। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
ধর্মীয় বিভাজনকে ভালো চোখে দেখেনি বাংলার মানুষ
রাজীব এদিন বলেন, ভোটের প্রচারে বিভেদের রাজনীতি করেছে বিজেপি। ধর্মীয় বিভাজনকে ভালো চোখে দেখেনি বাংমলার মানুষ। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসন দিয়েছে, তাঁকে বেগম, খালা, ফুফু বলা শোভনীয় হয়নি। রাজীবের এহেন বক্তব্যের উদ্দেশ্য স্পষ্ট, তিনি তাঁর ফেরার পথ সুগম করে রাখতে চাইছেন।
তৃণমূলে ফেরার জন্য সিগন্যাল দিচ্ছেন রাজীব
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাই নয়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বড় নেতা আখ্যায় কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। মোট কথা, তৃণমূলে ফেরার জন্য তিনি সিগন্যাল দিচ্ছেন। রাজীবের তৃণমূলে ঘরওয়াপসি এখন আটকে রয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বের গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার অপেক্ষায়। কারণ রাজীবকে ফেরানো নিয়ে অনীহা রয়েছে তৃণমূলের নিচুতলার নেতৃত্বের।