মুকুল ঘরে ফিরতেই লম্বা লাইন! কুণাল ঘোষের বাড়িতে বিজেপির 'বিদ্রোহী' নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
গত ২৪ ঘণ্টা আগেই তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের পরে একাধিক মুখ ফের শাসকদলে ফিরে আসতে পারে বলে গুব্জন তৈরি হয়। যে নামগুলি উঠে আসছিল সেগুলির মধ্যেঅন্যতম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী দত্ত।
গত ২৪ ঘণ্টা আগেই তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের পরে একাধিক মুখ ফের শাসকদলে ফিরে আসতে পারে বলে গুব্জন তৈরি হয়। যে নামগুলি উঠে আসছিল সেগুলির মধ্যেঅন্যতম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী দত্ত।
কারণ দুজনেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। নেতৃত্ব নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর এরপরেই রাজীব এবং সব্যসাচী তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়। আর মুকুল ফিরতেই সেই জল্পনা আরও বাড়ে। আর সেই জল্পনা আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিলেন প্রাক্তন সেচমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বাড়িতে গেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বিকেলে কুণাল ঘোষের বাডিতে হাজির হন রাজীব। সবার নজর এড়িয়েই কুণাল ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে যান রাজীব।
এরপর পুরো বিষয়টিকে লুকিয়ে করতে বাড়ির গেটে তালাও বন্ধ করে দেন কুণাল। জানা গিয়েছে, কোনও রকম ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ছাড়াই এদিন কুণাল ঘোষের বাড়িতে আসেন রাজীব। ব্যবহার করেন অন্যের গাড়িও। প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে এখনও কুণাল-রাজীব বৈঠক চলছে।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে নিজের একাধিক ক্ষোভ নিয়ে কয়েক দফায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের আলাপ-আলোচনার দলে থাকতে রাজি হননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির পথে পা বাড়িয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিধানসভা থেকে বেরনোর সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিশাল ছবি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
বলেছিলেন, "নেত্রী সবসময় শ্রদ্ধার। তাঁর আশীর্বাদ সঙ্গে রাখলাম।" এরপর চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে গিয়ে অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্য়ের প্রাক্তন বনমন্ত্রী। নিজের এলাকা ডোমজুড় থেকে বিজেপির প্রার্থীও হন। কিন্তু ভোটযুদ্ধে সফল হতে পারেননি। হেরে গিয়েছেন নিজের এলাকায়। এরপর থেকে আর বিজেপিমুখী হননি রাজীব। যোগাযোগ করেও রাজীবের খোঁজ পাননি বিজেপি নেতৃত্ব।
শোনা যায়, যখন বিজেপি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে তখন তলে তলে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেণ রাজীব। জানা যায়, তখন থেকেই তৃণমূলে ফেরার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। তবে তাঁর দলে ফিরতে বাধা অরূপ রায়। তিনি বেঁকে বসেছেন বলেই খবর। আর এর মধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটান রাজীব।
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যারা বেইমানি গদ্দারি করেছে ডোমজুড়বাসীর কাছে তাদের কোনো জায়গা নেই। সলপের পর শনিবার এই পোস্টার দেখা গেল হাওড়ার বাঁকড়ায়। ডোমজুড় কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের নামে এমনই পোস্টার লাগানো হয়েছে বাঁকড়ার বিভিন্ন এলাকায়।
হাওড়ার বাঁকড়ায় মুন্সীডাঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকায় কারও নাম উল্লেখ না করে দলবদলুদের সম্পর্কে ওই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগেই পোস্টার দেখা গিয়েছিল হাওড়ার সলপে।
আবারও নতুন করে ব্যানার-পোস্টার পড়েছে বাঁকড়া এলাকায়। গতকালই বিজেপি ছেড়ে পুরনো দলে ফিরেছেন মুকুল রায়।
Recommended Video
এই অবস্থায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও কয়েকজনের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় ফের হাওড়ায় পোস্টার পড়েছে।