রাজীব ‘ধৈর্য’-এর পরীক্ষা দিচ্ছেন তৃণমূলে! ফেসবুক লাইভে মানুষের 'কথা'য় জল্পনা তুঙ্গে
সরাসরি রাজনৈতিক কোনও বার্তা না দিলেও, ফেসবুক লাইভে অনেক কথা বলে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব সমাজের কথা দিয়ে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মীদের সম্মান এবং নিজের স্বাধীনতার কথাও তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর ফেসবুক লাইভে। সেইসঙ্গে জানিয়েছেন আমার এখনও ধৈর্যচ্যুতি হয়নি। এখনও ধৈর্য্য ধরেই আছি। তাঁর এই কথা প্রচ্ছন্ন বার্তা ছিল দলের উদ্দেশ্যে।

ফেসবুক লাইভে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
শনিবার ফেসবুক লাইভে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজ এমন একটা দিনে এই ফেসবুক লাইভ করছি, যেদিন থেকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হল সারা দেশে। করোনার বিরুদ্ধে আমরা জয়ী হব, এই আমাদের প্রার্থনা। ২০২০ খুব খারাপ কেটেছে, ২০২১ ভালো কাটুক সবার, এটাই শুধু চাই।

কেন যুব সমাজের চলার পথ ব্যহত হবে?
তিনি দেশের যুব সমাজের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বামীজির ভাবাধারা নিয়ে চলতে হবে। স্বামীজি যুব সমাজের আইকন। যুব সমাজ কেন পিছিয়ে পড়েছে। যুব সমাজকে দিশা দেখানোর চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি যুব সমাজই পথ দেখাবে। কেন যুব সমাজের চলার পথ ব্যহত হবে? যুবদের সঠিক রাস্তা দেখাতে হবে আমাদের।

চাকরি চেয়ে যুব সমাজ পাচ্ছে না, বার্তা রাজীবের
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, আমাদের রাজ্যে যে সম্পদ রয়েছে, মেধা রয়েছে, তা অন্য রাজ্যের নেই। চাকরি চেয়ে যুব সমাজ পাচ্ছে না, খুব খারাপ লাগছে। বিনা খরচে কম্পিটিটিভ এক্সামিনেশন দিতে কোচিং সেন্টার করেছি। আরও বিস্তার করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। আমি চাই, কেউ লক্ষ্যভ্রষ্ট হোয়ো না। সবইকে লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে।

মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই
রাজীব বলেন, আমার ধ্যান-জ্ঞান মানুষ। মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। সরকারি চাকরি সবাইকে দেওয়া যায় না। কিন্তু কাজের একটা পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া যায়। তাহলে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে নিতে পারবে। অনের পরিবারে হাসি ফুটবে, বাবা-মায়ের দুঃখ ঘুচবে, অনেকের কান্না বন্ধ হবে।

কর্মীর সঙ্গে অবিচার হচ্ছে, সেকথা বলা কি অন্যায়!
আমি সবসময় চেয়েছি, হৃদয়ের কথা মানুষের সঙ্গে শেয়ার করতে। আমি একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ কর্মী। তাই সাধারণ কর্মীদের দুঃখ-কষ্ট বুঝি। আমি কর্মীদের সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার দলনেত্রীও সেকথা বলেন। কিন্তু যখন দেখি কর্মীরা সম্মান পান না, কষ্ট হয়। অনেক কর্মীর সঙ্গে অবিচার হচ্ছে। তাঁদের কথা বলা কি অন্যায়!

মানুষের সঙ্গে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি
রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষ যেখানে চাইবে, সেখানে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য আমি। মানুষের সঙ্গে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য করি। যেটুকু বলা হবে, সেটাই করব। আমার কোনও স্বাধীনতা থাকবে না। তা কি হয়? শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছি, তা অনেকে বাঁকা ভাবে দেখানোর চেষ্টা করছে।

কেন দল মানুষের কাছ থেকে সরে যাবে?
শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পর কতিপয় তার অপব্যাখ্যা করেছেন। দল তাঁদের কিছু বলছে না বলেও মন্তব্য করেন রাজীব। তিনি বলেন, আমি সবসময় দলের ভালোর জন্য বলেছি। দলের মঙ্গলের জন্যই বলেছি। দল যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করেছি। আমি চাই না দল কেন মানুষের কাছ থেকে সরে যাক। কেন দল মানুষের কাছ থেকে সরে যাবে?

পিছনে ফিরে তাকাতে পছন্দ করি না : রাজীব
মানুষের কথা বলতে গেলে যেখানে সুবিধা হবে, আমি সেখানেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করব। দলে কেউ কেউ ভুল বুঝিয়ে অন্য পথে চালানোর চেষ্টা করেছে। আমি কিন্তু পিছনে ফিরে তাকাতে পছন্দ করি না। পজিটিভ চিন্তাভাবনা করতে ভালোবাসি। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলার চেষ্টা করি। আর মানুষ যা চাইবে, তা-ই করব।