ফের 'বেসুরো' রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়! তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের হুঁশিয়ারি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
ফের 'বেসুরো' রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়! তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
আবারও বেসুরো রাজীব বন্দ্যাপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ডোমজুড়ে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূলের (trinamool congress) নেতাদের নিশানা করেন তিনি। ফলে তাঁকে শান্ত করতে শীর্ষ নেতৃত্বে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরমদলে।
কর্মীদের প্রতি নেতারা ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন
এদিন ডোমজুড়ে এক অনুষ্ঠানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, বেশ কিছু নেতা তৃণমূল কর্মীদের সময়মতো নিজেদের কাজে ব্যবহার করেন। কর্মীদের সঙ্গে নেতারা দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর একেক সময় খুব খারাপ লাগে, যখন তিনি দেখেন, নেতারা কর্মীদের সঙ্গে চাকরবাকরের মতো ব্যবহার করেন। কর্মীদের দিয়ে বাড়ির কাজ করানো ছাড়াও, মোটর সাইকেলে এখানে, ওখানে পৌঁছে দিতে হয়। যেন নেতাদের কাজের জন্যই কর্মীরা রয়েছেন।
দলীয় নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারি
হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর মন্তব্য, সতর্ক হোন। দলের নেতারা যেন না ভাবেন, কর্মীরা কিছু বোঝে না। তিনি বলেন, মানুষকে সাময়িকভাবে বোকা বানানো যায়, কিন্তু চিরকাল কাউকে বোকা বানানো যায় না। আগামী দিনে এই কর্মীদের দ্বারাই ক্ষমতাচ্যুত হবেন নেতারা। তিনি বলেন, যেসব নেতারা কাঁচের ঘরে বসে অন্যের দিকে ঢিল ছোড়েন তাঁদের উচিত আগে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখা। তাঁরা আগে কী ছিলেন, আর কী হয়েছে।
ডোমজুড়বাসীর সমর্থনেই রাজনৈতিক কেরিয়ার
২০১১ থেকে পরপর দুবার তিনি ডোমজুড় থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছেন। তবে নিজের এই রাজনৈতিক কেরিয়ারের জন্য তৃণমূলকে কৃতিত্ব দিতে রাজি নন তিনি। তিনি এদিন বলেছেন, তিনি বর্তমানে যে জায়গায় গিয়েছেন, তা ডোমজুড়বাসীর সমর্থনে ও ভালোবাসায়। তিনি আরও বলেন, যতদিন তিনি রাজনীতি করবেন, নিজে ঠকলেও ডোমজুড়বাসীকে তিনি ঠকাবেন না।
স্তাবকতা করেন না বলেই নম্বর মেলে না
এর আগেও বেসুরো হতে দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেছিলেন, হ্যাঁকে হ্যাঁ আর না কে না বলেন তিনি। তাই দলে তাঁর নম্বর মেলে না। দলে যোগ্যতা, দক্ষতা ও স্বচ্ছতাকে কোনও নম্বর দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। রাজীব বলেছিলেন, যখনই মনে হয়েছে তিনি ভাল কাজ করছেন, তখনই তাঁকে পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
রাজীবের সঙ্গে দুবার বৈঠক পার্থর
প্রসঙ্গত হাওড়ার অপর এক বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেও ভাল নয়। তবে এদিন অরূপ রায় বলেছেন, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কোনও নেতা যদি খারাপ ব্যবহার করে থাকেন, কিংবা নিজের কাজে ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তা নিন্দনীয়। এর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামাল দিতে ১৩ ডিসেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বর বৈঠক করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমকে কোও কথা জানাতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এখনও কোনও সমাধান সূত্র বের করা যায়নি।
তৃণমূলের ক্যানসার হল ভাইপো! কত বছর বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে ইঙ্গিত করলেন শুভেন্দু