
আমাকে নিজে ফোন করে উনি বলেছিলেন নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছে! বিস্ফোরক রাজীব
নন্দীগ্রামে ষড়যন্ত্র নিয়ে বারবার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি গণনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রাণে মারার চেষ্টা পর্যন্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। আর এই বিতর্কের মধ্যেই বোমা ফাটালেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে রাজীবের পাশে দাঁড়ালেন সদ্য বিজেপি ত্যাগী জয়প্রকাশ মজুমদারও।
আজ শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কুণাল ঘোষ। আর তাঁর একপাশে থাকতে দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্য পাশে ছিলেন জয়প্রকাশ। এদিন রাজীব তাঁর বক্তব্যের শুরু থেকেই বিরোধী দলনেতাকে তীব্র আক্রমণ শানান। একাধিক ইস্যুতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
রাজীবের দাবি, আমি বিজেপিতে থাকাকালীন দেখেছি শুভেন্দুকে ব্যক্তি কুৎসা করতে। সেই সময়ে তাঁকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। এমনকি বিলো দ্যা বেল্ট আক্রমণ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন বলে দাবি রাজীবের।
আর তা বলতে গিয়েই ফের একবার নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ উঠে আসে প্রাক্তন এই বিজেপি নেতার মুখে। তাঁর দাবি, আমি সেই সময় বিজেপিতে ছিলাম। আমাকে নিজে ফোন করে বলেছিলেন নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছি। এরপর কোন জাদুবলে আবার পাল্টাল!
যদিও এই বিষয়ে তেমন কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সামনে আসতে পারেন তৃণমূল নেতা। তবে নাম না করে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, বুকে হাত দিয়ে বলুন তো স্বচ্ছ ভোট হয়েছে নন্দীগ্রামে!
একই সঙ্গে নতুন করে নন্দীগ্রামে ভোট করানো কিংবা গণনার দাবিও জানিয়েছেন রাজীব। বিজেপিকে দূরবীন দিয়ে দেখতে হবে। এই নেতাকেও মানুষ খুঁজে পাবে না বলে কটাক্ষ।
অন্যদিকে নন্দীগ্রাম ইস্যুতে রাজীবের এহেন দাবিকে সমর্থন জানান জয়প্রকাশ মজুমদারও। তাঁর আরও দাবি, ২০২১ এর ফলের পর আমি হেস্টিংস থেকে পিসি করে বলেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে জিতেছেন। পরে জানলাম জিতলেন শুভেন্দু! পরে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। রহস্যময় হেসে বলেছিল, জয়প্রকাশ দা, অনেক কায়দা করতে হয়েছে। তবে কি কায়দা সে বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলতে চাননি প্রাক্তন এই বিজেপি নেতা।
যদিও এহেন দাবি সম্পূর্ণ ভাবে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, পদ পাওয়ার সব চেষ্টা হচ্ছে।
তবে এদিন জয়প্রকাশ কার্যত শুভেন্দুর যোগদান নিয়ে একের পর এক বোমা ফাটান। বলেন, দিলীপবাবুর অনীহা ছিল শুভেন্দুবাবুর যোগদানে। ওই সময় শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে নানা কেস অন্তরালে পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হল। আমি দেখিয়েছিলাম নারদা নিয়ে শুভেন্দু'র ভিডিও!
পরে শুভেন্দুর যোগদানের কারণও জানতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেন জয়প্রকাশ। তাঁর দাবি তখন নাকি তাঁকে বলা হয় নিজেকে বাঁচাতে বিজেপিতে আসছেন! কেন্দ্রীয় তদন্তের হাত থেকে বাঁচব এটাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বলেও তোপ জয়প্রকাশের।