যেভাবেই হোক তৃণমূলে ফেরাটাই এখন টার্গেট! নজর এড়িয়ে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে রাজীব
বিধানসভা ভোট মিটতেই 'রহস্যজনক' ভাবে উবে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একবারের জন্যেও বিজেপি দফতরমুখী হননি। ফলত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এমনকি তিনি কি বিজেপিতে রয়েছেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন
বিধানসভা ভোট মিটতেই 'রহস্যজনক' ভাবে উবে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একবারের জন্যেও বিজেপি দফতরমুখী হননি। ফলত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এমনকি তিনি কি বিজেপিতে রয়েছেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে থাকে। আর এই জল্পনার মধ্যেই কুণাল ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু এই বৈঠক ঘিরে প্রশ্ন উঠতে থাকে তাহলে কি ফের একবার তৃণমূলে ফিরছেন রাজীব? আর এই জল্পনা শুরু হতেই রাজীব ইস্যুতে তৃণমূলে বিদ্রোহে আঁচ বাইরে এসে পড়ে। কিছুতেই বিশ্বাসঘাতক রাজীবকে দলে নেওয়া যাবে না, এই দাবিতে বিক্ষোভ চরমে ওঠে। আর এই অবস্থার মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ শুক্রবার কার্যত সবার নজর এড়িয়ে তৃণমূল সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের অফিসে চলে যান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। জানা গিয়েছে , দীর্ঘক্ষণ অভিষেকের সঙ্গে রাজীবের বৈঠক হয়। মূলত তাঁর দলে ফেরা নিয়েই অভিষেকের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রায় ৩০ মিনিট তৃণমূল সাংসদের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠক শেষে অভিষেক কি তাঁর তৃণমূলে ফেরার ব্যাপারে কোনও সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন? তা নিয়ে আরও জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এমনকি এই বৈঠকের ব্যাপারেও কোনও মন্তব্য করেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, বিজেপিতে থেকেও দলের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। ফেসবুকে একের পর এক বিজেপি বিরোধী তাঁর পোস্ট রীতিমত অস্বস্তি বাড়িয়েছে দলের। এমনকি গত কয়েকদিন আগে তেলের মুল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফেসবুকে তীব্র কটাক্ষ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে তোপ দাগেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, কুণালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কখনও তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন রাজীব আবার কখনও মাতৃহারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানাতে গিয়েছেন! যদিও প্রতি ক্ষেত্রে এই সমস্ত সাক্ষাৎকে সৌজন্য বলেই দাবি করেছেন রাজীব।
তবে রাজনৈতিকমহলের মতে, পুরনো দলে ফেরার জমি শক্ত করতে এই সমস্ত কৌশলী পদক্ষেপ ছিল রাজীবের! তবে রাজীবকে ঘরে ফেরাতে চেষ্টা করে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। খোদ নাড্ডা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। কিন্তু তাতেও নরম হননি রাজীব!
তবে এদিন অভিষেকের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে স্পষ্ট যেভাবেই হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই ফিরতে চাইছেন এই বিজেপি নেতা। তবে তাঁকে যদি ফের একবার তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়া হয় তাতে দলের মধ্যেই বিক্ষোভ বাড়বে না তো? প্রশ্ন ঊঠছে দলের মধ্যেই।