সারদা কেলেঙ্কারিতে এ বার কি গ্রেফতার রজত মজুমদার? জল্পনা তুঙ্গে
সারদা কেলেঙ্কারির জেরে যাঁরা সুবিধা পেয়েছিলেন, সেই তালিকায় রয়েছে রজত মজুমদারের নাম। সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন বারবার এমন অভিযোগই জানিয়েছেন। ১৪ অগস্ট ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত সরকার ও রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন অফিসার রজত মজুমদারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধারের পাশাপাশি তাঁদের দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
ইতিমধ্যে দেবব্রত সরকারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সারদা কেলেঙ্কারিতে এ রাজ্যে এটাই প্রথম গ্রেফতারি সিবিআইয়ের। এ বার তারা রজত মজুমদারের বিরুদ্ধে কোমর কষছে। সম্ভবত সোমবারই তাঁকে সল্ট লেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের অফিসে হাজিরা দিতে হবে। তাঁকে জেরা করে কিছু তথ্য পেতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রজতবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সারদা গোষ্ঠীতে শুধু যে কয়েক লাখ টাকা মাসিক বেতন নিতেন তাই নয়, প্রশাসনিক মহলে প্রভাবের কথা বলে সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে নানা সময় মোটা টাকা হাতিয়েছেন।
রজতবাবুকে নিয়ে টানাটানি শুরু হওয়ায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ তিনি সক্রিয়ভাবে দলের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তিনি বীরভূম জেলায় দলের পর্যবেক্ষকও ছিলেন। এখন নিয়মিত যাতায়াত আছে তৃণমূল ভবনে। বিরোধীরা রজতবাবুর এই রাজনীতিক যোগাযোগকে ইস্যু করে চাপে রাখতে চাইছে শাসক দলকে।