বর্ষার বিলম্বিত বিদায়েও ঘাটতি রয়ে গেল বৃষ্টির, বাংলার আবহাওয়ায় বিরূপ প্রকৃতি
বর্ষার বিলম্বিত বিদায়েও ঘাটতি রয়ে গেল বৃষ্টির, বাংলার আবহাওয়ায় বিরূপ প্রকৃতি
নির্ধারিত দিনের আটদিন পর বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। তবু মিটল না বৃষ্টির ঘাটতি। প্রকৃতি আবার বিরূপ বল বাংলার প্রতি। শুধু বাংলা নয়, গোটা ভারতেই এবার বৃষ্টির ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। বর্ষা নির্ধারিত সময়ের আগে প্রবেশ করে এবং নির্ধারিত সময়ের পরে বিদায় নিলেও বৃষ্টির ঘাটটি মেটাতে পারল না এবার।
তবু বৃষ্টির ঘাটতি মিটল না
মৌসুমী বায়ু রাজ্য থেকে বিদায় নেয় সাধারণত ১২ অক্টোবর। এবার বিদায় নিল ২০ অক্টোবর। কিন্তু এই সময়েই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের প্রভাব মৌসুমী বায়ুর বিদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ঘূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের কারণে আরও কয়েকদিন বিলম্বিত হয় মৌসুমী বায়ুর। বৃষ্টিও হয় তার প্রভাবে। এতদিন বিলম্বিত হওয়ার পরও তবু বৃষ্টির ঘাটতি মিটল না।
বাংলায় কত ঘাটতি বৃষ্টির
বাংলায় এবার বর্ষাকালীন বৃষ্টির ঘাটতি রয়ে গিয়েছে প্রায় ২০ সেন্টিমিটারের মতো। সাধারণত বর্ষাকালে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হয় প্রায় ১৪০ সেন্টিমিটার বা ১৩৯৬.৩ মিলিমিটার। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কম রয়ে গিয়েছে। এবার বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১১৯৯.২ মিলিমিটার বা প্রায় ১২০ সেন্টিমিটারের কাছে।
কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে ঘাটতি
কলকাতায় বৃষ্টি হয় প্রতি বছর গড়ে ৯০৫ মিলিমিটার বা ৯০ সেন্টিমিটার। এবার কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে তার দুই তৃতীয়াংশ অর্থার প্রায় ৩৩ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। আর দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি একটু কম। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ শতাংশে।
২০১০-এর ঘাটতিতে খরা পরিস্থিতি
২০১০ সালেও বৃষ্টিতে বিপুল পরিমাণ ঘাটতি ছিল। সেবার ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩১ শতাংশ। রাজ্যে দেখা দিয়েছিল খরা। এবার অবশ্য সেই খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ রয়ে গিয়েছে অনেকটাই। এখন দেখার বর্ষাকালীন বৃষ্টিতে ঘাটতি থাকলেও পরবর্তী সময়ে বৃষ্টি সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারে কি না।
৮২ শতাংশ বেশি বৃষ্টি পুজোর সময়
এবার ভারতে আগাম বর্ষার প্রবেশ ঘটে। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এবার তেমন মারাকাটির ব্যাটিং চালাতে পারেনি। পুজোর সময় তবু অনেকটাই ঘাটতি পূরণে সফল হয়েছিল। অন্য সময়ে যে পরিমাণ ঘাটতি হয়েছিল, তার অনেকটাই পুজোর সময় মিটিয়ে ফেলেছিল বিলম্বিত বর্ষা। স্বাভাবিকের থেকে ৮২ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয় পুজোর পাঁচদিন।
বৃষ্টির বিপুল ঘাটতি রেখে বর্ষা-বিদায়
হিসেব মতো বর্ষা বিদায় নেওয়ার কথা ১২ অক্টোবর। তবে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকতে থাকায় মৌসুমী বায়ুর বাংলাকে বিদায় দিতে বিলম্ব ঘটে যায়। শেষপর্যন্ত বর্ষা বিদায় নেয় ২০ অক্টোবর। রেখে যায় বৃষ্টির বিপুল ঘাটতি। এবার প্রকৃতি বিরূপ থাকে। স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকে
বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত, কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে! বাংলার জেলাগুলির আবহাওয়া একনজরে