বৃষ্টি নেই, সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে গিয়েও উঠছে না মাছ, আশঙ্কার মৎস্যজীবীরা
বৃষ্টির অভাবে সেই ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না সামুদ্রিক মাছ। কবে যে শেষ এমন পরিস্থিতি হয়েছিল তা মনে করতে পারছেন না মৎস্যজীবীরা।
বৃষ্টির অভাবে সেই ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না সামুদ্রিক মাছ। কবে যে শেষ এমন পরিস্থিতি হয়েছিল তা মনে করতে পারছেন না মৎস্যজীবীরা। এখন তাই বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছেন এই মৎস্যজীবীরা।
বৃষ্টির অভাবে শুধু চাষের ও ফুলের ক্ষতি নয়, সমস্যার মধ্যে পড়েছেন মৎসজীবীরাও। দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, গত ২০- ২৫ বছরে শ্রাবণ মাসে মাছের এমন সঙ্কট দেখা যায়নি।
যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে এই পরিস্থিতিতে যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে তাও পাওয়া যাবে না।
দিঘা এলাকার মৎস্যজীবীরা জানান এই সময়ে দিঘার মোহনায় যে মৎস্য নিলাম কেন্দ্র মৎস্যজীবী ও মাছ ব্যবসায়ীদের ভিড়ে সরগরম থাকে এখন তা প্রায় শুনশান।
শ্রাবণ মাসের ভরা মরশুমে এমন পরিস্থিতি কবে হয়েছিল তা মনে করতে পারছেন না তাঁরা। বলেছেন যে, বৃষ্টি না হওয়ায় ইলিশ তো বটেই অন্যান্য সামুদ্রিক মাছেরও আমদানি নেই। ফলে কার্যত বেকার হয়ে পড়েছেন এই নিলাম কেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল অন্যান্যরাও।
তাঁরা জানান, এখন যে নিলাম হচ্ছে তার পরিমাণ খুব কম। মৎস্যজীবী শান্তনু মাঝি বলেছেন, এইরকম আবহাওয়া চলতে থাকলে জালে মাছ পড়ার আশা আরও কমে যাবে। বৃষ্টি না হওয়ায় ট্রলার নিয়ে গেলেও ঠিক মতো মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যেতে চাইছেন না।
মৎস্যজীবীরা জানান সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর তাঁরা গিয়ে কিছু পরিমাণে মাছ পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন বৃষ্টি নেই। তাই সামুদ্রিক মাছের দেখাও নেই।