ব্যাংক কর্মীদের জন্যে বড়সড় স্বস্তির খবর! সবুজ সঙ্কেত মিলতেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল কর্মচারী সংগঠনগুলি
করোনার চোখ রাঙানো এড়িয়ে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ব্যাংক কর্মীরা। ইতিমধ্যে গোটা দেশে কয়েক হাজার ব্যাংক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এরপরেও কার্যত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মী থেকে ব্যাংকের আধিকারিকরা। প্রথম পর্যায়
করোনার চোখ রাঙানো এড়িয়ে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ব্যাংক কর্মীরা। ইতিমধ্যে গোটা দেশে কয়েক হাজার ব্যাংক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এরপরেও কার্যত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মী থেকে ব্যাংকের আধিকারিকরা। প্রথম পর্যায়ে তো বটেই, করোনার সেকেন্ড ওয়েভেও কাজ চালাচ্ছেন তাঁরা। যদিও স্বস্তির খবর দেরিতে হলেও ব্যাংক আধিকারিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার তোরজোড় শুরু করা হয়েছে। এবার ব্যাংক কর্মীদের কথা ভেবে আরও এক পদক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের।
কড়া বিধি নিষেধে সমস্যায় পড়েন ব্যাংক কর্মীরা
গত মাসের ১৫ তারিখ থেকে বাংলাতে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংক্রমণ রুখতে রাতারতি বন্ধ করে দেওয়া হয় লোকাল ট্রেন। বন্ধ হয় মেট্রোও। এমনকি রাস্তায় পরিবহনের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হয়। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েন ব্যাংক কর্মীরা। কড়া বিধিনিষেধ চলাকালীন ব্যাংকে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও বিশেষ সুবিধা পাচ্ছিলেন না কর্মীরা। ফলে কাজে যাওয়া কার্যত দুর্বিষহ হয়ে ওঠে ব্যাংক কর্মীদের কাছে। ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের। সমস্যা মেটাতে সরকারের দ্বারস্থ হয় ব্যাংক ইউনিয়নগুলি।
স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবি জানানো হয়
লকডাউনের মধ্যেও রেল কর্মীদের জন্য স্টাফ স্পেশাল চালানো হচ্ছিল রেল কর্মচারীদের জন্য। পরবর্তী সময় স্বাস্থ্য এবং পুরকর্মীদের যাতে সেই ট্রেনে চড়ার অনুমতি দেওয়া হয় সেই আবেদন জানানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। রাজ্যের সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিল রেল। এরপর সপ্তাহদুয়েক আগে ব্যাঙ্ক কর্মীদের জন্যও একই দাবি জানিয়ে চিঠি দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। ব্যাংক কর্মচারীদের তরফে স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হয়। শুধু তাই নয়, ব্যাংক কর্মীদের মান্থলি টিকিট কাটতে হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে।
যাতায়াতের ক্ষেত্রেও ছাড়পত্র দিল
রাজ্যের ডাকে কার্যত সাড়া দিয়ে এবার স্বাস্থ্য কর্মীদের পর স্টাফ স্পেশাল লোকাল ট্রেনে ব্যাঙ্ক কর্মীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও ছাড়পত্র দিল পূর্ব রেল। কার্যত লকডাউনের মধ্যে যাতায়াতের সমস্যার কথা মাথায় রেখে জরুরি পরিষেবার যুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের স্পেশাল ট্রেনে চড়ার ছাড়পত্র এর আগেই দেওয়া হয়েছিল। এ বার ব্যাঙ্ক কর্মীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম জারি করা হল। যদিও এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কর্মীদের নিজেদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। আর তা দেখলেই স্পেশাল ট্রেনে ওঠার সুযোগ পাবেন ব্যাংক কর্মীরা। তবে এখন খুবই কম ট্রেন চলে। কিন্তু যাত্রী বাড়ায় এবার ধীরে ধীরে স্পেশাল ট্রেন বাড়ানোর কথা ভাবছে রেল।
স্বাগত জানিয়েছে ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নগুলি
ইতিমধ্যে স্পেশাল ট্রেনে চড়তে শুরু করেছেন ব্যাংক কর্মী-আধিকারিকরা। বিশেষ করে যাদের বাড়ি থেকে অনেক দুরে কর্মস্থলে যেতে হয় তাঁদের ক্ষেত্রে বেশ সুবিধা হয়েছে এইস সিদ্ধান্ত। রেল এবং সরকারকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ জানিয়েছে ব্যাংক কর্মী ইউনিয়ণগুলি।