৩ ঘন্টা পরে উঠল অবরোধ! বে-লাইনে ট্রেন নিয়ে তদন্তের নির্দেশ
সকাল আটটার কিছু পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলে ব্যাহত ট্রেন চলাচল। পরের পর স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে লোকাল ও দুরপাল্লার ট্রেন। বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। সকাল ১১ টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
সকাল আটটার কিছু পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলে ব্যাহত ট্রেন চলাচল। পরের পর স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে লোকাল ও দুরপাল্লার ট্রেন। বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। সকাল ১১ টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। ঘটনায় নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
দাশনগরে বে-লাইনে ট্রেন
সকাল আটটার পর পাশকুড়া থেকে হাওড়াগামী ট্রেনটি ডাউন লাইন দিয়ে স্টেশনে না গিয়ে মাঝের লাইন দিয়ে পাশ করানো হয়। ট্রেনটি মাঝের লাইন দিয়ে দাশনগর স্টেশনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে। স্টেশন না থাকায় দু পাশে লাফ দিয়ে নামতে থাকেন যাত্রীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাশের লাইন দিয়ে জগন্নাথ এক্সপ্রেস যায়। ট্রেনের ধাক্কায় না হলেও, লাফ মারার কারণে অনেক যাত্রীই আহত হন বলে জানা গিয়েছে।
দাশনগরে অবরোধ
এই ঘটনার পর সকাল ৮.২০ থেকে দাশনগরে আপ ও ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন যাত্রীরা। অভিযুক্ত রেলকর্মীদের শাস্তির দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। আরপিএফ এবং জিআরপি-র বিশাল বাহিনী নিয়ে স্টেশন চত্বরে যান রেলের আধিকারিকরা। অবরোধকারীদের বোঝানোর চেষ্টা চলে।
বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই মুহুর্তে দাশনগর স্টেশনে দাঁড়িয়ে আপ দুরন্ত এক্সপ্রেস। এছাড়াও আমতা লোকাল, পাশকুড়া দাঁড়িয়ে পড়েছে। ডাউন লাইনে উলুবেড়িয়া-সহ বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে বহু ট্রেন।
রেলের তরফে দায় স্বীকার
দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ রেলের তরফে গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। ঘটনাাটিকে ভুল বোঝাবুঝি বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তদন্ত করে কর্মীদের শাস্তির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সিগন্যাল ফেল হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে রেলের আধিকারিকরা।
( ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)