‘বিজেপি’র হাতে সরকারের ভার দিয়ে গঙ্গাসাগর যাত্রা করুন মমতা! করোনা আবহে পরামর্শ রাহুল সিনহার
করোনার আবহে রাজনীতির পাদর চড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, বিজেপি কোনও রাজনীতি করছে না।
করোনার আবহে রাজনীতির পারদ চড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, বিজেপি কোনও রাজনীতি করছে না। বরং রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলার নামে কারা রাজনীতি শুরু করল, তার প্রমাণ দিয়ে রাহুল মমতাকে গুটি কয়েক পরামর্শও দিলেন।
বিজেপিই প্রথম সিগন্যাল দিয়েছিল
রাহুল বলেন, বিজেপিই প্রথম সিগন্যাল দিয়েছিল, রাজনীতি নয় সহযোগিতা করতে চাই করোনার আবহে। কিন্তু আদতে দেখা গেল, তাঁদের কোনও সহযোগিতাই নিতে চাইলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্যো পাধ্যায়। উল্টে তিনি প্রশান্ত কিশোরকে উড়িয়ে এনে প্রমাণ করপে দিলেন, ভিতরে ভিতরে রাজনীতি করতে চাইছে তৃণমূলই।
সহযোগিতা চায়নি তৃণমূল সরকার
রাহুলের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের উড়িয়ে আনা। উনি কাকে উড়িয়ে আনলেন, না ওঁদের টিচার প্রশান্ত কিশোরকে। তাহলে কারা রাজনীতি শুরু করল, প্রশ্ন ছুড়ে দেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, বি্জেপিকে ত্রাণ বিলি পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। তাঁরা চেয়েছিলেন সমালোচনা না করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে।
শুধু বিজেপির বেলায় আটকানো হচ্ছে
রাহুলের অভিযোগ, নানা জায়গায় বিজেপিকে আটকানো হচ্ছে। বিজেপি নেতারা বেরোলেই তাঁদের আটকানো হচ্ছে প্রশাসনকে দিয়ে। সিপিএম-কংগ্রস সুন্দরবন সফরে গেল, তখন তাদের আটকানো হল না। সিপিএম-কংগ্রেসকে আটকানো হচ্ছে, শুধু বিজেপিকে আটকানো হচ্ছে। এটা গভীর পরিকল্পনা।
২০২১ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা করতেই ব্যস্ত তৃণমূল
রাহুলের কথায়, আমরা টের পেয়ে গেলাম, তৃণমূল করোনা মোকাবিলার চেয়ে ২০২১ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা করতেই অনেক বেশি ব্যস্ত। তখন আমরাও নেমে পড়লাম ময়দানে। আমাদের মানসিকতা আছে বিপর্যয় মোকাবিলার। তাই আমরা চিঠি দিয়েছি। আমরা এখনও রাজনীতি না করে কাজ করতেই চাই বাংলার মানুষের হয়ে।
আম্ফান তুফানে গাছ বিক্রি কেলেঙ্কারি
আম্ফান তুফান নিয়েও রাহুল সিনহা একহাত নেন তৃণমূলকে। এটা রাজ্যের তৃণমূল সরকারের আর একটা কেলেঙ্কারি। গাছ বিক্রি কেলেঙ্কারি। আমরা রাজ্য সরকারের কাছে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হিসেব চাই, কত টাকার গাছ বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেব সামনে আনুন। গাছ লাগান ক্ষতি নেই, কিন্তু গাছ বিক্রির কেলেঙ্কারির জবাব দিতে হবে। কারণ খয়েকশো কোটি টাকার গাছ বিক্রি হয়েছে।
গঙ্গাসাগরে গিয়ে গঙ্গাস্নান করে আসুন
রাহুল আরও বলেন, মমতার সরকার শুধু বলে চলেছে কেন্দ্র দিচ্ছে না, কেন্দ্র করছে না। কেন্দ্রই যদি সব করবে, তবে কেন্দ্রের হাতে সরকার তুলে দিয়ে মানে মানে কেটে পড়ুন। কেন্দ্রের হাতে সরকারের ভার দিয়ে গঙ্গাসাগরে গিয়ে গঙ্গাস্নান করে আসুন। যে সরকার একটা ঝড়ের গাছ বিক্রির টাকা নিয়ে কেলেঙ্কারি করে, ত্রাণের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করে, করোনা মোকাবিলায় মিথ্যার রাজনীতি করে সেই সরকারের কোনও দরকার নেই।