তৃণমূল থেকে খসল আরও এক ‘তারা’! মমতার পতনের পূর্ব লক্ষ্মণ দেখছেন রাহুল
২০১৯-এর সেই মহারণের এক বছর আগেই তৃণমূলের পতনের পূর্ব লক্ষ্মণ দেখতে পাচ্ছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, তার পরই শুরু হবে 'মহারণ'। ২০১৯-এর সেই মহারণের এক বছর আগেই তৃণমূলের পতনের পূর্ব লক্ষ্মণ দেখতে পাচ্ছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। সোমবার তিনি বলেন, 'একটার পর একটা উইকেট পড়তে শুরু করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের। এবার রাজ্য থেকে বিদায় নিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে।' তিনি বাইচুং ভুটিয়ার তৃণমূল ত্যাগের ঘোষণা নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
[আরও পড়ুন:সরকারি কর্মচারীদের জন্য ফের সুখবর দিলেন মমতা, দোলের আগে বড় 'উপহার']
বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বলেন, 'তৃণমূল কোনও ভদ্রলোকের জায়গা নয়। সেখানে বাইচুং ভুটিয়ার মতো একজন ভারত বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব কী করে টিকলেন, সেটাই আমার অবাক লাগে। যাই হোক তিনি এতদিন পর বুঝেছেন, তৃণমূল পার্টিটায় আর যাই হোক ভদ্রলোকেরা থাকতে পারে না।' তাঁকে প্রকারান্তরে বিজেপিতে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন রাহুল সিনহা।
রাহুলবাবুর কথায়, 'তৃণমূল কংগ্রেস কোনও নীতি নেই। সেখানে সিদ্ধান্ত জানানোর মতো সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নেই। নেই গণতন্ত্র। এই গণতন্ত্রহীন দলে এবার ভাঙন শুরু হয়েছে, তা আর কেউ রুখতে পারবে না। এবার পতন অবশ্যম্ভাবী।' তিনি বলেন, 'এই তো শুরু, এবার আরও বড় ভাঙন আসতে শুরু করেছে।'
উল্লেখ্য বাইচুং ভুটিয়া এদিন টুইট করেন, 'আজ থেকে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে, এমনকী সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিলাম। আমি এখন আর কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নই।' তাঁর এই টুইট ও ফেসবুক বার্তার পরই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু জানান, 'আমার কাছে এমন কোনও খবর নেই। তিনি কোনও চিঠি পাননি।'
[আরও পড়ুন: মুকুল 'পদ' পেতেই ভাঙন শুরু তৃণমূলে, পঞ্চায়েতের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেন কারা]