তৃণমূলের পতনের সূচনা হল! পঞ্চায়েতের আগে সেমিফাইনাল-যুদ্ধে আত্মতুষ্ট বিজেপি
সিপিএমকে দ্বিতীয় স্থান থেকে সরাতে পেরেই তাঁরা মনে করছে রাজ্যে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানো এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আগামীদিনে বাংলার ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপিই।
উলুবেড়িয়া-নোয়াপাড়া উপনির্বাচনে জয় দূরস্ত, কেবলমাত্র ভোট বাড়িয়েই আত্মতুষ্ট বিজেপি। সিপিএমকে দ্বিতীয় স্থান থেকে সরাতে পেরেই তাঁরা মনে করছে রাজ্যে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানো এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আগামীদিনে বাংলার ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপিই। দুই উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতে এই ফলাফলকে তৃণমূলের পতনের ইঙ্গিত বলে দাবি করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা।
রাহুল সিনহা এদিন দাবি করেন, 'সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে নোয়াপাড়া আসনে জিততে পারত না তৃণমূল। সেই নিরিখে এটাই এই সরকারের শেষ বছর। তৃণমূল আর এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। রাজ্যে প্রতিষ্ঠা হবে বিজেপি সরকারের।' এ প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, 'তৃণমূলের লাগামছাড়া ভোট-সন্ত্রাস সত্ত্বেও যেভাবে ভোট বাড়াতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি, তাতে তৃণমূলের পতনই সূচিত করে।'
তিনি আরও বলেন, 'বাংলা থেকে ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম। এই মুহূর্তে বাংলার প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে উঠছে বিজেপি। তাঁদের লড়াই তৃণমূলের সঙ্গ। আর সুষ্ঠু ভোট হলে তৃণমূলকেও তাঁরা হারিয়ে দিতে পারবেন। নোয়াপাড়ায় এক ধাক্কায় ১৫ হাজার ভোট বাড়িয়েছে বিজেপি। আর উলুবেড়িয়ায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ভোট বাড়িয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের সন্ত্রাস উপেক্ষা করেই এই ভোট-বৃদ্ধি অন্য বার্তা দিচ্ছে রাজ্যে।' তিনি বলেন, 'পঞ্চায়েতের পর ২০১৯-এ লোকসভা ভোট, সেই লোকসভা ভোটেই দেখবেন তৃণমূলের সমস্ত লম্ফঝম্ফ উধাও হয়ে গিয়েছে।'
রাহুলবাবুর এই প্রতিক্রিয়ার কড়া জবাব দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি জানান, 'দ্বিতীয় স্থানে ওঠার আত্মতুষ্টি নিয়েই থাকুক বিজেপি। আসলে ওরা তো লড়াইয়ের জায়গাতেই আসতে পারেনি। কী আর বলবে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে যাচ্ছি, আরও পাঁচটা রাজনৈতিক দলকে নিয়ে জোট করলেও ওরা আমাদের হারাতে পারবে না। কারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে এই উপনির্বাচনে।'
তাঁর কথায়, 'আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিপুল জয়লাভ করবে তৃণমূল। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছেন। হিংসার পরিবেশ তৈরি করছে বিজপি উসকানিমূলক মন্তব্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তবু মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে, তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন। বিজেপি যে সন্ত্রাসের অভিযোগ করছে, সন্ত্রাস হলে ওরা ওই পরিমাণ ভোট পেতেন না। হিংসা ও অবাধ ভোট হয়েছে বলেই তা সম্ভব হয়েছে। মিথ্যে আর অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বোকা বানানো যায় না। এবারও ওরা ভুয়ো ছবি ছড়িয়ে এলাকা কুৎসা শুরু করেছিল। কিন্তু তা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এখন আর বলার মতো কিছুই নেই।'