পশ্চিমবঙ্গে গরিব বিরোধী সরকার! তৃণমূল ক্ষমতায় থাকতে গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান নয়, বিস্ফোরক রাহুল
পশ্চিমবঙ্গে গরিব বিরোধী সরকার! তৃণমূল ক্ষমতায় থাকতে গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান নয়, বললেন রাহুল
তৃণমূল ক্ষমতায় থাকতে রাজ্যকে গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের আওতায় আনা যাবে না। রবিবার লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন, বাংলার নাম গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের আওতায় আনার জন্য। এর উত্তরে রাহুল সিনহা বলেন, তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরেই রাজ্যের নাম এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান প্রকল্পের সূচনা
প্রধানমন্ত্রী ২০ জুন শনিবার গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের সূচনা করেছেন। ৫০ হাজার কোটির এই প্রকল্পে দেশের ছয় রাজ্য, বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রগেশ, রাজস্থান, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের ১১৬ জেলার নাম রয়েছে। যে সব জেলায় অন্তত ২৫ হাজার পরিযায়ী রয়েছেন, সেইসব জেলার নাম এই তালিকায় রয়েছে। রাজ্যের হাতে থাকা এই প্রকল্পে বছরে ১২৫ দিনের কাজের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছেন ১১ লক্ষ পরিযায়ী
রাজ্য সরকারের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ফিরেছেন ১১ লক্ষ পরিযায়ী। যেসব জেলাগুলি কেন্দ্রের দেওয়া শর্ত পূরণ করতে পারছে তাদের মধ্যে রয়েছে, কোচবিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম মেদিনীপুর। কিন্তু যদি ১১ লক্ষ পরিযায়ী ফিরে থাকেন তাহলে ২৩ জেলায় জেলা পিছু পরিযায়ীর সংখ্যাটা প্রায় ৪৮ হাজারের মতো।
প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি অধীররঞ্জন চৌধুরীর
অধীর
চৌধুরীর
রবিবার
প্রধানমন্ত্রীকে
চিঠি
পাঠিয়েছেন।
সেখানে
তিনি
উল্লেখ
করেছেন,
প্রধানমন্ত্রী
গরিব
কল্যাণ
রোজগার
অভিযানের
সূচনা
করেছেন।
৬
রাজ্যের
১১৬
টি
জেলা
এর
অন্তর্ভুক্ত
হয়েছে।
এখানে
পরিযায়ী
শ্রমিকরা
বছরে
১২৫
দিনের
কাজ
পাবে।
সেখানে
তিনি
আরও
বলেছেন,
যে
সব
জেলায়
পরিযায়ী
শ্রমিক
অন্তত
২৫
হাজার,
সেইসব
জেলার
নাম
অন্তর্ভুক্ত
করা
হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের
বিভিন্ন
জেলায়
বড়
সংখ্যায়
পরিযায়ীরা
থাকলেও,
রাজ্যের
কোনও
জেলার
নাম
এই
তালিকায়
অন্তর্ভুক্ত
না
হওয়ায়
তিনি
অবাক
হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের
যেসব
জেলায়
পরিযায়ীর
সংখ্যা
বেশি
সেইসব
জেলাকে
গরিব
কল্যাণ
রোজগার
যোজনার
অন্তর্ভুক্ত
করার
আবেদন
করেছেন
অধীর।
এদিন
সকালে
বিষয়টি
নিয়ে
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কেও
চিঠি
দিয়েছেন
অধীর
চৌধুরী।
সেখানে
তিনি
প্রস্তাব
দিয়ে
বলেছেন,
প্রকল্পের
প্রয়োজনীয়তার
ওপর
গুরুত্ব
দিন
এবং
যত
তাড়াতাড়ি
সম্ভব
এই
কর্মসূচির
আওতায়
বাংলাকে
অন্তর্ভুক্ত
করার
জন্য
মুখ্যমন্ত্রীকে
উদ্যোগ
গ্রহণের
পরামর্শ
দিয়েছেন।
রাহুল সিনহার অভিযোগ
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে গরিব বিরোধী সরকার রয়েছে। সেই জন্যই রাজ্যে গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান শুরু করা যায়নি। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়ুষ্মাণ ভারত ও পিএম কিষাণ যোজনার সুযোগ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়নি। তাঁর আরও অভিযোগ, লকডাউনের সময় পরিযায়ীদের রজ্যে ফিরতেও তারা বাধা দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই চান পশ্চিমবঙ্গকে সাহায্য করতে। করোনা পরিস্থিতিতেও আম্পানের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারকে হাজার কোটি টাকা সাহায্য করেছেন। কিন্তু সেই টাকাও গরিব মানুষের কাছে পৌঁছয়নি।
বিজেপিকে 'মাইলেজ’ দিলেও তৃণমূল ব্যাকফুটে! পিকের পরিকল্পনা বুমেরাং হবে না তো