রাহুল সিনহা কি তবে রণে ভঙ্গ দেবেন মুকুল রায়ের কাছে ‘হার’ মেনে! সময় শেষে জল্পনা তুঙ্গে
রাহুল কি তবে রণেভঙ্গ দেবেন মুকুলের কাছে ‘হার’ মেনে! সময় শেষে জল্পনা তুঙ্গে
সময়সীমা শেষ। যতটা গর্জালেন, ততটা বর্যালেন না রাহুল সিনহা। তিন বছর দলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের কাছে পর্যুদস্ত হয়ে ৪০ বছর দল করা রাহুল সিনহা কি তবে রণে ভঙ্গ দিলেন? ২০২১-এর আগে 'অপমানিত' হয়েও থেকে গেলেন বিজেপিতে! যদিও তিনি নবান্ন অভিযানে গরহাজির ছিলেন বৃহস্পতিবার, পক্ষান্তরে তাঁর দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও সিদ্ধান্ত জানালেন রাহুল।
স্পিকটি নট রাহুল, জোর জল্পনা
রাহুল সিনহা তো এখনও মুখই খুলছেন না। সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। নিজেকে নিয়ে চলে গিয়েছেন রাজনীতির অন্তরালে। স্পিকটি নট রাহুল বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হবেন কি না তা যেমন ধন্দে, তেমনই মুকুল রায়ের নেতৃত্বে তিনি বাংলার ভোটে সক্রিয় হবেন কি না বিজেপিতে থেকেও তা অনিশ্চিত।
তিন বছরের মুকুলের কাছে হার রাহুলের
রাহুল সিনহা বিজেপিতে ব্রাত্য হয়ে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন, যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তিনি জানিয়ে দেবেন ১০-১২ দিনের মধ্যে। বৃহস্পতিবারই তাঁর ১২ দিনের সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তিনি জানাননি, তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে? তবে কি বিজেপিতেই তিনি গুরুত্বহীন হয়ে রয়ে যাবেন। ৪০ বছর বিজেপির সঙ্গে রাজনীতি করেও পদহীন থাকবেন!
স্রেফ চাপ সৃষ্টি করতেই সময় বেঁধে দেন রাহুল!
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, রাহুল সিনহা পদ হারিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন স্রেফ চাপ সৃষ্টি করতেই। কিন্তু চাপেও লাভ কিছু হয়নি। তারপর রাহুল সিনহা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকে দিল্লি যান। সেখানে গিয়ে স্রেফ বঙ্গের ভোট-রণনীতি নিয়ে কথা হয়, রাহুল সিনহাকে নিয়ে কোনও কথা হয়নি বিজেপির।
রাহুল সিনহার অবস্থান সেই তিমিরেই
ফলে রাহুল সিনহার অবস্থান যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে যায়। রাহুল সিনহা ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরে আসেন ঘরে। এরপর রাহুল সিনহা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চাননি, এ বিষয়ে মুখ খুলতেও চাননি। ফলে তাঁর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতই রয়ে যায়। এই অবস্থায় তিনি কী করবেন, তার জন্য ১২ দিন শেষ হওয়ার পাশাপাশি নবান্ন অভিযানে ভূমিকা নিয়েও রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল।
রাহুল সিনহাকে প্রকারান্তরে ধৈর্য ধরার পরামর্শ
এরই মধ্যে আবার রাহুল সিনহাকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজেপির সহসভাপতি মুকুল রায় ও বাংলার সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। তাঁরা রাহুল সিনহাকে প্রকারান্তরে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন। তাঁকে বুঝিয়ে দেন, বর্তমান অবস্থায় তাঁর এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। হঠকারিতা করলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হতে পারে।
কে পদ পেয়েছেন, কে পাননি, তা বড় বিষয় নয়
সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপিতে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে মুকুল রায় রাহুল সিনহার নাম না করেই কিছু পরামর্শ দেন। কেন্দ্রীয় বিজেপির সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেন, কে পদ পেয়েছেন, কে পদ পাননি, সেটা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনা। আমাদের সবাইকে মিলেই এই কাজ করতে হবে।
ট্রেন মিস করলে স্টেশনেই বসে থাকতে হয়
মুকুল রায়ের সেই কথার সূত্র ধরেই সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন বলেন, ট্রেন মিস করলে স্টেশনেই বসে থাকতে হয় যাত্রীকে। অপেক্ষা করতে হয় পরের ট্রেনের জন্য। কিন্তু তা না করে যদি মনের দুঃখে বাড়ি চলে যান যাত্রী, তবে সব ট্রেনই ফস্কে যায়। তাঁর এই বার্তাতেও রাহুলই উদ্দেশ্য ছিলেন, তা জানে ওয়াকিবহলমহও।
একনিষ্ঠ কর্মীর মতো প্রমাণ দেওয়ার অপেক্ষা
এখন যা পরিস্থিতি রাহুল সিনহা বিজেপির বিরুদ্ধে এখনই পদক্ষেপ করছেন না। তিনি ১০-১২ দিন কেন, এখনই হয়তো এ ব্যাপারে কোনও মুখ খুলবেন না। পরিস্থিতি বুঝে আরও সমস্যা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেন। নতুবা কেন্দ্রীয় বিজেপির সিদ্ধান্ত মেনে একনিষ্ঠ কর্মীর মতো নিজেকে প্রমাণ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।
সেনার ভুল শোধরানোর বার্তা, মৃতদের পরিবারেরর সঙ্গে সাক্ষাৎ কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের