বোরখায় মুখ ঢাকা উচিত মমতার! গণতন্ত্রের ‘কলঙ্কিত অধ্যায়’-এ পরামর্শ রাহুলের
ভোটের আগেই ভোটের ফল প্রকাশ হয়ে গেল। আর এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের লজ্জা বলে ব্যাখ্যা করলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা।
আরও একবার রাজ্যে কলঙ্কিত হল গণতন্ত্র। ভোটের আগেই বহু গ্রাম পঞ্চায়েত, সমিতি, এমনকী জেলা পরিষদও বিনাযুদ্ধে জিতে গেল শাসক দল। ভোটের আগেই ভোটের ফল প্রকাশ হয়ে গেল। আর এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের লজ্জা বলে ব্যাখ্যা করলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা।
[আরও পড়ুন: শুধু বিজেপি নয়, ২০১৯-এ হারছেন মোদীও! কোন অঙ্কে তা সম্ভব জানালেন রাহুল]
তিনি বলেন, এক নগ্ন ইতিহাস রচিত হল বাংলায়। বাংলার বুকে এদিনটা একটা কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে রয়ে যাবে। আর এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত বোরখায় মুখ ঢেকে রাখা। তার কারণ, যে নগ্ন ইতিহাস লেখা হল, তারপর তাঁর আর মুখ দেখানো উচিত নয়।
রাহুলের কথায়, বাংলায় জনগণ ভোট দিতে পারল না। পেশী শক্তির প্রয়োগ করে ভোটদানের আগেই জয়ী হয়ে গেল তৃণমূল। এই জয় বোমা-বারুদের জয়, গোলা-বন্দুকের জয়। আসলে এটা জয় নয়, এটা তৃণমূলের বিনাশের সূত্রপাত। সেটা শুরু হল এই পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্ব থেকেই।
[আরও পড়ুন: বিজেপি বিগ জিরো, ছক্কার পর ছক্কা হাঁকাল তৃণমূল, খুশির বাঁধ ভাঙল কল্যাণের]
তৃণমূল দেখাল, রাজ্যে বামফ্রন্ট আমলের থেকেও খারাপ সময় চলছে। বাম আমলে তবু বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারতেন। কিন্তু তৃণমূলের আমলে মনোনয়নই দিতে দেওয়া হচ্ছে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে যাচ্ছে শাসক দল। তাহলে আর ভোটের কী মূল্য রইল। কী লাভ এই প্রহসনের ভোট করে!
উল্লেখ্য, সোমবার মনোনয়নের শেষদিনে বীরভূম জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তৃণমূল। এখানে ৪২টির মধ্যে ৪১টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল। বিরোধীরা কোনও প্রার্থী দিতে পারল না। প্রার্থী দিল শুধু একটি আসনে। আর বীরভূমের ১৯টির মধ্যে ১২টি পঞ্চায়েত সমিতিতেই জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস।