ফের বড়সড় ধাক্কা খেলেন রাহুল! বিজেপির ‘অনুগত’ ভবিষ্যৎ-ভাবনায় ‘স্পিকটি নট’
ফের বড়সড় ধাক্কা খেলেন রাহুল! বিজেপির ‘অনুগত’ ভবিষ্যৎ-ভাবনায় ‘স্পিকটি নট’
৪০ বছর অনুগত সৈনিকের মতো গলের সেবা করেছেন রাহুল সিনহা। শেষে কিনা তাঁকেই পদ ছাড়তে হল একজন তৃণমূল থেকে আসা নেতার জন্য। আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, দল আমাকে ভালো পুরস্কারই দিয়েছে। মুকুল ঘনিষ্ঠের কাছে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ হারানোর পর অনেক আশা নিয়ে দিল্লি ছুটেও কাজের কাজ কিছুই হল না রাহুলের।
৪০ বছর বিজেপি রাহুলও হারালেন পদ!
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্তরে বিরাট রদবদল হয় বিজেপিতে। বাংলায় একুশের নির্বাচনের আগে মুকুস রায় বড় পচ পান দলে আসার তিন বছরের মাথায়। তাঁকে সর্বভারতীয় সহসভাপতির আসন দেওয়া হয়। একইভাবে রাহুল সিনহার মতো মনেপ্রাণে বিজেপির কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় পদ। আবার সেই পদে অভিষিক্ত করা হয় মুকুল ঘনিষ্ঠ অনুপম হাজরাকে।
...তবু আশা নিয়ে ছুটেছিলেন দিল্লি
এরপর রাহুল সিনহা কেন্দ্রীয় বিজেপির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। আপেক্ষের পাশাপাশি তিনি কার্যত হুঁশি্য়ারিও দিয়েছিলেন ১০-১২ দিনের মধ্যেই তিনি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দল পরিবর্তনের ইঙ্গিতও ছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তারপরও রাহুল অনুগত সৈনিকের মতোই দিল্লি ছুটেছিলেন কোনও একটা সুপ্ত বাসনা নিয়ে।
দিল্লির বৈঠকেও ‘দ্বার’ খুলল না রাহুলের
কিন্তু রাহুলের সেই সুপ্ত বাসনার কোনও বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল না দিল্লিতে বিজেপির বৈঠকে। সেখানে রাহুলের অপসারণ নিয়ে কোনও আলোচনাই হল না। যা হল সবই বাংলার ভোট সংক্রান্ত। বঙ্গ বিজেপির ত্রয়ী বলতে যে তিনজনকে বোঝায় অর্থাৎ মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার কাছ থেকে বিজেপির বর্তমান অবস্থা জানলেন অমিত শাহ।
সমর্থকদের উপেক্ষা করেই দিল্লিতে, রইলেন ব্রাত্যই
রাহুল যুগ্ম কেন্দ্রীয় সম্পাদক শিব প্রকাশের কাছে থেকে একটা আশ্বাস পেয়ে দিল্লি ছুটেছিলেন। কিন্তু দিল্লির বৈঠকে আদতে কোনও কাজ হল না। তিনি ব্রাত্যই রয়েছে গেলেন। তাঁর অপসারণ প্রসঙ্গ উঠলই না। ফলে কলকাতা বিমানবন্দরে সমর্থকদের কাছে তিনি বলে গিয়েছিলেন তিনি অনুগত সৈনিক, তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাক অবহেলা করতে পারবেন না। এখন তাঁদের কী জানাবেন রাহুল!
বিজেপিতেই থাকবেন? নাকি ১০-১২ দিনেই সিদ্ধান্ত
রাহুল এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে চাননি। ফলে তাঁকে নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এখন প্রশ্ন, তিনি এই অপমান সহ্য করে বিজেপিতেই থাকবেন? নাকি বিজেপি ছেড়ে তিনি অন্য কোনও দলে মাথা গুঁজবেন। রাহুল ১০-১২ দিন সময় নিয়েছিলেন। এখন দেখার কোন পথে পা বাড়ান তিনি! নাকি চাপ সৃষ্টি করে বিজেপিতে কোনও গুরুত্বের আসন তিনি লাভ করতে পারেন আবার?
বিহারে ভোট হলে কেন নয় বাংলায়! যত দ্রুত সম্ভব ভোটের দাবিতে চিঠি বিজেপির