রাহুল গান্ধী আগেই চেয়েছিলেন, সীতারামকে নিয়ে দু-বছর পর ‘ভুল’ বুঝতে পারল সিপিএম
রাহুল আগেই চেয়েছিলেন, সীতারামকে নিয়ে দু-বছর পর ‘ভুল’ বুঝতে পারল সিপিএম
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে আগেই চেয়েছিলেন সাংসদের ভূমিকায়। কিন্তু সিপিএম দলীয় নীতি-নৈতিকতার বড়াই করে তা হতে দেয়নি। তা যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, তা বুঝতে সিপিএমের সময় লেগে গেল দু-বছর। ২০১৭-র পর যে দাবি তুলেছিলেন রাহুল, তাতেই অবশেষে মান্যতা দিল সিপিএম।
দু-বছর পর ঠেকে শিখল সিপিএম
২০১৭ সালে কংগ্রেসের তরফে বাংলা থেকে সীতারাম ইয়েচুরিকে সংসদে পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তখন তা মানতে পারেনি সিপিএম। দু-বছর পর ঠেকে শিখল তারা। যখন দেখেছে সংসদে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখায় আর কোনও রাস্তা নেই, তখন কংগ্রেসের সহায়তা নিয়ে সীতারাম ইয়েচুরিকে সংসদে পাঠাতে রাজি হল তারা।
ইয়েচুরিকে সংসদে পাঠাতে আগ্রহী সিপিএম
দু-বছর পর সীতারাম ইয়েচুরিকে সংসদে পাঠাতে বিশেষ আগ্রহী সিপিএম। নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে এবং নিজেদের আওয়াজ তুলে ধরতে সংসদে সীতারামের অভাব টের পেল তারা। তাই আর ছ্যুৎমার্গ না রেখে কংগ্রেসের সহায়তা চাওয়ার ব্যাপারেও সম্মত হল। সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি কংগ্রেসের সহায়তা চেয়েছে সীতারামকে সংসদে পাঠাতে।
ইয়েচুরির সংসদীয় ভূমিকা প্রশংসনীয়
রাজ্য সিপিএম সূত্রে সোমবার ইয়েচুরির সংসদীয় ভূমিকা তুলে ধরে এই প্রস্তাবে আনা হয়েছে বৈঠকে। বলা হয়েছে ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সংসদে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন ইয়েচুরি। তাই আগামী মাসে অনুষ্ঠিত রাজ্যসভা নির্বাচনে তাঁকে মনোনীত করতে হবে আবার। কেননা সংসেদ তাঁদের কথা তুলে ধরার কেউ থাকবে না আর।
রাহুল গান্ধী তাঁকে চেয়েছিলেন
২০১৭ সালে সীতারাম ইয়েচুরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্বয়ং রাহুল গান্ধী তাঁকে চেয়েছিলেন। তিনি মনে্ করেছিলেন, বিরোধী মত আরও প্রত্যয়ের সঙ্গে সংসদে উপস্থাপনা করতে সীতারাম ইয়েচুরিকে দরকার। সিপিএম তখন দলীয় নিয়মের কথা তুলে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বলা হয়েছিল পরপর তিনবার কেউ সংসদ হিসেবে মনোনন পাবে না।
সংসদে সিপিএম গৌন হতেই
সংসদে দৃঢ়তার সঙ্গে দলের কথা, মানুষের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরতে ইয়েচুরির জুড়িমেলা ভার। তিনি চলে যাওয়ার পর থেকে সংসদে সিপিএম গৌন হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও সরকার বিরোধী আওয়াজ জোরদার করতে তাঁর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন। তখন সিপিএম শুধু বুঝল না তাঁর প্রয়োজনীয়তা। তাঁরা সেই ভুল বুঝল দু-বছর পর।
সংসদে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে
কোনও সিপিএম সাংসদ তাকবে২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পরে সিপিএম একজনও সাংসদ পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাঠাতে পারেনি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়রি থেকে লোকসভা বা রাজসভায় কোনও প্রতিনিধিই থাকবে না তাদের। ১৯৬৪ সালে দলটি প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো এই ধরনের ঘটনা ঘটতে চলেছে। বর্তমান রাজ্য বিধানসভায় আসন বন্টন অনুসারে তৃণমূল চারটি রাজ্যসভা আসন পাবে এবং সিপিএম এবং কংগ্রেস যৌথ প্রার্থী একটি আসন জিতবে। এই সুযোগ নিয়ে সীতারাম ইয়েচুরিকে রাজ্যসভায় পাঠাতে মরিয়া সিপিএম।
কুকুরের পর এবার 'বাঁদর'! বুদ্ধিজীবীদের নয়া কটাক্ষে ভরালেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু