শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা রাহুলের! মমতার তৃণমূলকে নিয়ে ধর্মসংকট কংগ্রেসে
সীতারাম ইয়েচুরিরা নীতি বিসর্জন দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরার পক্ষে রায় আদায় করে এনেছিলেন। এবার যুদ্ধ কংগ্রেসে। কার হাত ধরবেন তাঁরা সিপিএম, না তৃণমূলের? সেই প্রশ্নেই দ্বন্দ্ব চরমে।
ক'দিন আগে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস উত্তাল হয়ে উঠেছিল কংগ্রেসের হাত ধরাকে কেন্দ্র করে। শেষমেশ সীতারাম ইয়েচুরিরা নীতি বিসর্জন দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরার পক্ষে রায় আদায় করে এনেছিলেন। এবার যুদ্ধ কংগ্রেসে। কার হাত ধরবেন তাঁরা সিপিএম, না তৃণমূলের? সেই প্রশ্নেই দ্বন্দ্ব চরমে।
রাহুল গান্ধী প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে বুঝতে চেয়েছেন সবার মনের কথা। সেখানে অধীর চৌধুরী যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে লোকসভায় লড়াই করার তীব্র বিরোধী, তেমনই তাঁর সুরে সুর মিলিয়েছেন আবদুল মান্নান, দীপা দাশমুন্সি, ওমপ্রকাশ মিশ্ররা।
আবার তাঁদের সঙ্গে সহমত হয়েছেন সোমেন মিত্রও। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও বর্তমানের সঙ্গে মিলে দাবি করেছেন তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ার অর্থ কংগ্রেসের সংগঠনকে একেবারে শেষের রাস্তা দেখানো। কংগ্রেসকে ভাঙছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির জন্যই কংগ্রেসের শোচনীয় অবস্থা। সিপিএমের সঙ্গে জোট করলে অবশ্য সংগঠনে হাত পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে পা বাড়িয়ে থাকা বিধায়কের নালিশ রাহুলের কাছে, জোট-প্রশ্নে বার্তা অধীরকে]
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থা শোচনীয় ঠিকই। কিন্তু যেটুকু রয়েছে, সেটুকুও টিকিয়ে রাখা যাবে না তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে চললে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তৃণমূলের সঙ্গে গেলে স্বল্পমেয়াদি সুবিধা পাবে কংগ্রেস, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা পাবে না শতাব্দী প্রাচীন এই দল। বরং রাজ্যে শেষের পথে আরও এগিয়ে যাবে কংগ্রেস।
কেননা তৃণমূলের লক্ষ্যই হল রাজ্যে কংগ্রেসকে শেষ করে দেওয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলালে যদি একজনও দল ছাড়ে, তার কারণ আমাকে জিজ্ঞাসা করলে হবে না। ধর্মসংকটে পড়ে এখন সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
[আরও পড়ুন:রাহুল প্রধানমন্ত্রী হবেন ব্রাহ্মণ-কন্যার সঙ্গে বিয়ে হলে! সোনিয়াকে 'সু-পরামর্শ' সাংসদের]