মমতা ভাঙিয়েই চলেছেন কংগ্রেস, কথা বলবেন স্বয়ং রাহুল! মান্নানের নালিশে উদ্বেগ
পাখির চোখ ২০১৯ লোকসভা। কংগ্রেসও ইতিমধ্যেই মিশন ২০১৯-এর লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর রাজ্যে রাজ্যে জোট করার জন্য তৈরি হচ্ছেন রাহুল গান্ধী।
পাখির চোখ ২০১৯ লোকসভা। কংগ্রেসও ইতিমধ্যেই মিশন ২০১৯-এর লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর রাজ্যে রাজ্যে জোট করার জন্য তৈরি হচ্ছেন রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের মুখপাত্র আভাস দিয়েছেন এ রাজ্যে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের সঙ্গেই জোটের। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে রাহুলের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। তা শুনে রাহুল দিলেন আশ্বাস।
ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বাংলার কোনও নেতাই সে অর্থে কোনও প্রশ্ন তোলেননি। তবে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একান্তে দীর্ঘ কথা হল আবদুল মান্নানের। মান্নান সুযোগ পেয়েই বললেন, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে কংগ্রেস ভাঙিয়ে বিধায়কদের তৃণমূলে যোগদান করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, যেভাবে রাজ্যে কংগ্রেস ভাঙানোর খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা, তা উদ্বেগজনক।
মান্নানের প্রতিটা কতা মন দিয়ে শোনেন রাহুল গান্ধী। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি এ ব্যাপারে মমতাজির সঙ্গে কথা বলেছেন। মান্নান জানান, তাঁর সঙ্গে কথা বলে কোনও লাভ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠানোর আর্জি জানান মান্নান সাহেব। সম্যক শোনার পর রাহুল নিজেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বলে জানান।
মান্নানের কথায়, কংগ্রেসে এই ভাঙনের কথা শুনে রাহুল গান্ধী নিজেও চিন্তিত। তিনি নিজে সমস্ত রাজ্যে জোটের ব্যাপারে কথা বলছেন। আমি তাঁকে জানিয়েছি, জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোট গড়তেই পারেন। প্রয়োজনে আমাকে যদি পদত্যাগ করতে হয় করব। তবে আমি কখনই কংগ্রেস ছাড়ব না।
[আরও পড়ুন: আবার ভোটের আসর বসছে রাজ্যে, ১৭ পুরভোটের দামামা বাজল কোর্ট-কমিশন ভাষ্যে]
রাহুল বলেন, পদত্যাগ করার প্রয়োজন হবে না। আমি কথা বলব। নতুনবা একটি কমিটি গড়ে দেব। তাঁরা এই ব্যাপারে কথা বলবে। অন্য রাজ্যেও সেভাবেই কথা এগোবে। মান্নান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নালিশ জানালেও, অধীর কিছু বলতে পারেননি। তিনি বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সুযোগ হয়নি সময়াভাবে। তিনিও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন:বিজেপিকে ধাক্কা, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘরে ফিরলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের কংগ্রেসকর্মীরা]