সংস্কৃতির বাংলায় কলঙ্কিত রবীন্দ্রনাথ, বিসর্জনের বেলেল্লাপনায় নিন্দার ঝড়
বিসর্জনকে ঘিরে উদ্দাম নৃত্য তো চলছিলই। ভাড়া করা ডান্সারদের এনে বেলেল্লাপনাও মাত্রা ছাড়াল তারপর। রবীন্দ্রনাথকেও ছাড়ল না তাঁরা।
ফের সংস্কৃতির বাংলায় কলঙ্কিত কবিগুরু। রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মদ ঢেলে অপসংস্কৃতির নির্লজ্জ নমুনা রাখল কয়েকজন যুবক। বিসর্জনের মাত্রাছাড়া বিশৃঙ্খলায় আলিপুরদুয়ারের এই ঘটনা কালিমালিপ্ত করল বাংলার সংস্কৃতিকে। কলঙ্কিত করল বাংলার দুর্গাপুজোকেও। এই ঘটনায় নিন্দায় সরব হলেন শহরের বিশিষ্ট সংস্কৃতিবান মানুষেরা।
বিসর্জনকে ঘিরে উদ্দাম নৃত্য তো চলছিলই। ভাড়া করা ডান্সারদের এনে বেলেল্লাপনাও মাত্রা ছাড়াল তারপর। রবীন্দ্রনাথকেও ছাড়ল না তাঁরা। এই ঘটনায় নিন্দায় সুশীল সমাজ গর্জে উঠলেও কেউ প্রশাসনের দ্বারস্থ হননি। ফলে গ্রেফতারও হননি অভিযুক্তরা। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। এই বিষয়ে প্রশাসন একেবারেই নীরব। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ জমা পড়লে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আলিপুরদুয়ার মাধবমোড়ে রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ মূর্তিতে মদ ঢেলে দেওয়া হয়। এই বেলেল্লাপনার বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ঘটনার পর তিনদিন কেটে যাওয়া সত্ত্বেও। শুধু এই কাজের বিরুদ্ধেই নয়, নীরব প্রশাসনের বিরুদ্ধেও গর্জে উঠলেন সংস্কৃতিবান মানুষেরা। তাঁরাই প্রতিবাদে সরব হলেন। গর্জে উঠল সোশাল মিডিয়াও।
হঠাৎই মদ্যপ যুবকের নিশানা হয়ে যায় রবীন্দ্রনাথের এই আবক্ষ মূর্তি। কবিগুরুর মূর্তিতে ভাঙার চেষ্টা করা হয়। তারপর মদ দিয়ে স্নান করিয়ে দেওয়া হয় মূর্তিটি। স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবাদ করলে মদ্যপ যুবকেরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
একাংশের মতে দুর্গাপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেনি। কয়েকজন মদ্যপ যুবক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ভিনরাজ্যের বাসিন্দা বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে যে-ই এই ঘটনা ঘটাক, তার দৃষ্ট্বান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে জেলার সুশীল সমাজদের পক্ষ থেকে।