চড়া মেজাজে মন্ত্রী, ধমক এবার পুলিশকে! পঞ্চায়েতের ফলাফল প্রকাশের দিনেও উত্তেজনা
ভোটের দিনের মতোই চড়া মেজাজে ধরা পড়লেন কোচবিহার তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন পুলিশকে সরিয়ে গণনাকেন্দ্রের দখন নিয়ে নেন মন্ত্রী।
ভোটের দিনের মতোই চড়া মেজাজে ধরা পড়লেন কোচবিহার তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন পুলিশকে সরিয়ে গণনাকেন্দ্রের দখন নিয়ে নেন মন্ত্রী। এমনই অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। অভিযোগ, কোচবিহারের গণনাকেন্দ্রের সামনে তৃণমূলকর্মীরা ভিড় জমায়। তখন পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে পাল্টা পুলিশকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজে গণনাকেন্দ্র হয় কোচবিহার দু-নম্বর ব্লকের। গণনাকেন্দ্রের বাইরে ব্যারিকেড করা সত্ত্বেও তৃণমূলকর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ তাদের হটিয়ে দিতে যায়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মন্ত্রীর ধমকের মুখে পড়ে। মন্ত্রী পাল্টা পুলিশকেই ধমক দিয়ে সরে যেতে বলেন।
[আরও পড়ুন: ভাঙড়ের রাজনৈতিক অঙ্কে কি ছাপ ফেলল নির্দলরা! বিজয়ীদের সম্পর্কে কিছু তথ্য ]
রবীন্দ্রনাথবাবু পুলিশের উদ্দেশ্যে সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের দলের কর্মীদের তিনিই সরিয়ে দেবেন। পুলিশের হস্তক্ষেপের কোনও দরকার নেই। এরপর তিনিই কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কেউ ব্যারিকেড পার করবেন না। পুলিশকে বলেন, আপনারা আপনাদের কাজ করুন।
এর আগে ভোটের দিন বিজেপি এজেন্টকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে। ব্যালট বক্স মাটিতে আছড়ে ফেলার অভিযোগে বিজেপির ওই এজেন্টকে বুথের বাইরে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মন্ত্রী। এরপর বুথের বাইরে তাঁকে চড় মারেন তিনি। এই ঘটনায় মন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর হন রাজনৈতিক মহল। তাঁর নিন্দায় সরব হন নিজের দলের নেতা-কর্মীরাও। এরপর এদিনও ফের পুলিশকে চড়া সুরে ধমক দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন:তৃণমূল-বিজেপির জোর টক্কর দুই জেলায়, পঞ্চায়েত ফলেই বেজে গেল লোকসভার দামামা]