সিঙ্গুরে শিল্প হলে আপত্তি নেই তৃণমূলের! বিধায়কের টাটা-আবাহনে জল্পনা তুঙ্গে
লোকসভা ভোটের পরই উল্টো সুর তৃণমূল বিধায়কের গলায়। ১৩ বছর কেটে গিয়েছে সিঙ্গুর-কাণ্ডের। এখন তৃণমূল বিধায়ক তথা সেদিনের সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম হোতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলছেন, জমি মালিকরা স্বেচ্ছায় যদি জমি দিতে চান, তাহলে টাটা বা যে কোন শিল্পগোষ্ঠী কারখানা করতে পারে সিঙ্গুরে। আমরা তাদের স্বাগত জানাতে তৈরি।

সিঙ্গুর নিয়ে কি মতবদল তৃণমূলের!
সিঙ্গুর নিয়ে তবে কি মত বদল হয়েছে তৃণমূলের। এখন কি তবে কৃষি ছেড়ে শিল্পের দিকেই ঝুঁকেছে তৃণমূল? এ প্রসঙ্গেই তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মত বিনিময় করলেন। এবং শর্ত সাপেক্ষে তিনি একপ্রকার সহমত পোষণ করলেন সিঙ্গুরের প্রকল্প নিয়ে। এমনকী টাটা গোষ্ঠীকে নিয়েও যে কোনও ছূঁৎমার্গ নেই তাঁদের তাও জানিয়ে দিলেন।

২০০৬ সালের সিঙ্গুর আন্দোলন
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরে সিঙ্গুরে ন্যানো প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তারপরই জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে কৃষক আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল। তিন ফসলী জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তৎকালীন বিরোধীনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল জমি আন্দোলন।

মমতার আন্দোলনে পিছু হটল টাটা
অনিচ্ছুক কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ধারাবাহিক আন্দোলনে জেরবার করে তুলেছিলেন তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের জেরেই সিঙ্গুর থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় টাটা গোষ্ঠী। বাংলার প্রকল্প গুজরাটে নিয়ে চলে যায় টাটা গ্রুপ। তারপর কৃষকদের জমি ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুরু হয় মমতার পরিবর্তন আন্দোলন।

জমি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর কৃষক জমি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুও হয়। তা সম্পূর্ণও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আট বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। সম্প্রতি ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির উত্থাপনের পর পাল্লা অন্য দিকে ঘুরতে শুরু করেছে।

তৃণমূল বিধায়কের কথায় জল্পনা
এদিন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বারাসাত বিশেষ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে এসে বলেন, জোর করে জমি অধিগ্রহণ চলবে না। বাম আমলে সিঙ্গুর জোর করে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তাই আমরা আন্দোলনে নিমজ্জিত ছিলাম। এখন যদি জমি মালিকরা স্ব্বেচ্ছায় যদি জমি দিতে চান তবে টাটা বা যে কোন শিল্পগোষ্ঠী সেখানে কারখানা করতে পারে। আমরা তাদের স্বাগত জানাব।