লোকাল ট্রেনে যেতে যেতে শুনবেন রবীন্দ্র সঙ্গীত, সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের
অনেকটা পথ ট্রেন যাত্রায় একঘেয়েমি লাগে যাত্রীদের। তাই অনেকেই শরণাপন্ন হয় মোবাইলের। কিন্তু এবার থেকে আর সেই একঘেয়েমি আর থাকবে না। ট্রেন যাত্রার একঘেয়েমি কাটাতে পূর্ব রেলের লোকাল ট্রেনের সমস্ত কামরায় বাজানো হবে রবীন্দ্রসঙ্গীত।

পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে ৮টি কামরায় এই গান বাজানো হচ্ছে। লোকাল ট্রেনের প্রতিটা কামরায় যে অ্যানাউন্সইং সিস্টেম রয়েছে, সেখানেই ওই গান বাজবে বলে জানা গিয়েছে।
এনিয়ে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে ডিআরএম সঞ্জয় কুমার সাহা জানান, ভিড় ট্রেনে মানুষের মনোরঞ্জনের আর কিছুই নেই। লম্বা দূরত্বের যাত্রায় মানুষ এক প্রকার বিরক্ত হন। সুসময়ে মোবাইল ঘাঁটা ছাড়া আর কিছুই উপায় থাকে না। কখনো কখনো দেখা যায় নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা জড়িয়ে পড়ছেন। কিন্তু সেই জায়গাতে মানুষের মনোরঞ্জন ও একঘেয়েমি কাটাতে তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে। পূর্ব রেলের এই সিদ্ধান্ত জানার পর খুশি নিত্যযাত্রীরা।
যদিও বিধানসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে রেল কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিল, তাতে কার্যত রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে শাসকদল। যদিও তাতে আমল দিতে রাজি নয় বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পর ট্রাফিক সিগন্যালে রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নকল করছে। যা মানুষ ধরে ফেলবেন। এতে মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই নম্বর বাড়বে বলে মত তাঁর। এই সবকিছুই ভোটের জন্য বলেও মন্তব্য করেন অরূপ রায়।
অন্যদিকে হাওড়া জেলা বিজেপির সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, 'এটা রেলের ভালো কাজ। তৃণমূল কংগ্রেস সবকিছুর মধ্যেই রাজনীতি দেখে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পকে তৃণমূল সরকার নিজেদের বলে চালাচ্ছে। মানুষ তা বোঝেন।'
মহিলা কর্মীকে কু প্রস্তাবের অভিযোগে বিক্ষোভ মালদহের পঞ্চায়েত অফিসে