কালিয়াগঞ্জে বিজেপির হারে উঠে আসছে একের পর এক কারণ! প্রশ্নে দেবশ্রী চৌধুরীর ভূমিকা
উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থী হারে আতস কাঁচের তলায় সবার ভূমিকা। ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন অমিত শাহ।
উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থী হারে আতস কাঁচের তলায় সবার ভূমিকা। ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তবে কালিয়াগঞ্জ যেখানে লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ৫৭ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন, সেই কেন্দ্রে হার নিয়ে বিজেপির বড় অংশের আত্মতুষ্টিকেই দায়ী করছেন অনেকে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জনসংযোগে ব্যর্থতার বিষয়টিও উঠে এসেছে।
কালিয়াগঞ্জে বিজেপি
লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রটি বিজেপি জিতে নেয়। এই কেন্দ্রের মধ্যে থাকা কালিয়াগঞ্জ থেকে তাদের লিড ছিল প্রায় ৫৭ হাজারের মতো। সেই কেন্দ্রেই এবারের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রায় ২৪০০ ভোটে হেরে গিয়েছে।
হারের পর্যালোচনায় একের পর এক কারণ
লোকসভা ভোটে ৫৭ হাজার ভোটে কালিয়াগঞ্জে এগিয়ে থাকায়, সেই কেন্দ্রের বিজেপি কর্মীদের একটা বড় অংশের মধ্যে আত্মতুষ্টি তৈরি হয়েছিল। এছাড়াও বেশ কিছু এলাকায় ছিল সাংগঠনিক দুর্বলতাও। তাছাড়াও সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর জনসংযোগের অভাবকেও দায়ী করছেন বিজেপির একাংশের নেতারা। যেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে উদ্যোগ নিয়েছিল তৃণমূল, সেই উদ্যোগ বিজেপির মধ্যে ছিল না। পাশাপাশি ২৭০ টি বুথের মধ্যে ৩০ টি বুথে বিজেপির কোনও কমিটি ছিল না। জেলা বিজেপির বৈঠকে এইসব কারণ উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রশ্নে দেবশ্রী চৌধুরীর ভূমিকা
সূত্রের খবর অনুযায়ী জেলা বিজেপির রিপোর্টে সাংগঠনিক ব্যর্থতাতে তুলে ধরা হয়েছে। চারটি পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল বিজেপির থেকে বেশি ভোট পেয়েছে। এইসব এলাকায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব জনগণের মধ্যে থেকে এনআরসি আতঙ্ক দূর করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়াও উপনির্বাচনে প্রচার শুরু আর শেষে দু-একটি দিন ছাড়া দেবশ্রী চৌধুরী দলীয় প্রার্থী সমর্থনে প্রচার চালাননি। অভিযোগ সাংসদ হওয়ার পর তেকে তাঁর সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সেরকম জনসংযোগ তৈরি হয়নি। সূত্রের খবর অনুযায়ী নিজের সমর্থনে সাফাই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে তাঁকে সারা দেশে কাজ করতে হয়। তাঁর পক্ষে যতটা সম্ভব হয়েছে, ততটাই জনসংযোগ তিনি তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রার্থী দায়ী করেছেন এনআরসিকে
কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কমল সরকার হারের পরেই এনআরসির ভয়কেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, এনআরসি নিয়ে শাসকদলের প্রচারের মোকাবিলা করা যায়নি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই অভিযোগে পরে শিলমোহর দিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।