সুন্দরবনে বসল বিশুদ্ধ পানীয় জলের কাউন্টার
সুন্দরবনে বসল বিশুদ্ধ পানীয় জলের কাউন্টার
অভাব ছিলই। আমফানের পর থেকে প্রত্যন্ত সুন্দরবনে আরও বেড়ে যায় পানীয় জলের অভাব। সেই অভাব দুর করতে এবার তৎপর হোক প্রশাসন। সুন্দরবনে বসল সাতাশটি বিশুদ্ধ পানীয় জলের কাউন্টার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের উদ্যোগে এই ২৭ টি বিশুদ্ধ পানীয় জলের কাউন্টার বসানো হয়েছে। যা করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, আর্সেনিক মুক্ত এই জলের পরিষেবা পাবেন সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের দুলদুলি, সাহেব খালি, যোগেশগঞ্জ, কালিতলা গোবিন্দকাটি পঞ্চায়েতের মানুষ। প্রায় এক লক্ষ মানুষের বসবাস এই ৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। যাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের। একাধিকবার অভিযোগ বিক্ষোভ আন্দোলন করেও সুরাহা হয়নি বলে দাবি মানুষের। আইলার পরবর্তী সময় থেকে এ পর্যন্ত তাই পানীয় জলের দাবি জানিয়ে এসেছে মানুষ। সেই দাবিরই একটা সুরাহা হলো বলে মনে করছেন সুন্দরবনবাসী।
পিএইচই সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটির নীচে মিষ্টি জল পর্যাপ্ত পরিমানে না থাকায় নদীর নোনা জল ও পুকুরের জল আধুনিক প্রযূক্তির মধ্য দিয়ে শোধন করা হচ্ছে। এই বিশুদ্ধ জল এক লিটার তৈরী করতে সরকারের খরচ হয় সাত টাকা। প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যায়ে এই কাউন্টার থেকে প্রায় এক লক্ষ সুন্দরবনবাসী এই জলের পরিষেবা পাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, আমফানের সময় এই পানীয় জলের কাউন্টারগুলি ঠিকমতো কাজ করতে পারিনি। তার একটাই কারণ ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে। যার কারণে এই জলের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ছিল তারা। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রতিটি জলের কাউন্টারে একটি করে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে মানুষ দিবারাত্র জলের পরিষেবা পায়।
হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মন্ডল জানান, সুন্দরবনের মানুষ স্বাধীনতার পর থেকেই পানীয় জলের সমস্যায় ছিল। প্রায়ই শোনা যেত জলের জন্য তিন থেকে চার কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পেরোতে হতো। কিন্তু বর্তমানে এই জল পেয়ে খুশি সুন্দরবনের মানুষ।