আটকে দেওয়া হয়েছে বাঁশ দিয়ে! দিঘাতে ঢুকতে গেলেই দিতে হচ্ছে করোনা পরীক্ষা
আটকে দেওয়া হয়েছে বাঁশ দিয়ে! দিঘাতে ঢুকতে গেলেই দিতে হচ্ছে করোনা পরীক্ষা
করোনা সংক্রমণে কার্যত বিপদ সীমায় বাংলায়! প্রায় প্রত্যেকদিনই ২০ হাজার করে সংক্রমিত হচ্ছেন মানুষ। শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যের ছবিটা কার্যত এক। সমস্ত জেলাতেই সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ উপরের দিকে। এই অবস্থায় আরও কড়াকড়ির পথে রাজ্য সরকার? এমনটাই জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে যে সমস্ত জেলাগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে সেখানে দ্রুত কড়া বিধি লাঘু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এই অবস্থায় বাংলা-ওডিশা সীমান্তে লাগাম টানল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
ওডিশাতেও বাড়ছে সংক্রমণ
গোটা দেশের পাশাপাশি ওডিশাতেও ক্রমশ বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গত কয়েক ঘন্টায় সে রাজ্যে প্রায় ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত। করোনার পাশাপাশি ওডিশাতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। সম্প্রতি পুরী থেকে ফিরে এক ব্যক্তির শরীরে বাংলায় ওমিক্রনের নমুনা পাওয়া যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে এবার সতর্কতা অবলম্বন করতে চায় সরকার। বিশেষ করে বাংলা-ওডিশা সীমান্তে রাশ টানল জেলা প্রশাসন।
খোলা সীমান্তে বহু মানুষের যাতায়াত
মেদিনীপুর অর্থাৎ দিঘা দিয়েই বহু মানুষ ওডিশাতে ঢোকেন। পর্যটকরা তো বটেই, সীমান্ত দিয়ে বহু মানুষ যাতায়াত করে। দুই রাজ্যে ঢোকা বেরোনোয় তেমন কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। একটি মাত্র সেখানে চেকপোস্ট থাকলেও সেভাবে পরিকাঠামো নেই। ফলে সারাদিন ধরেই সীমান্ত পেরিয়ে চলে সাধারণ মানুষের যাতায়াত। কেউ করোনা সংক্রমিত হলেও তা বোঝার উপায় নেই। ফলে অবাধ মানুষের সঙ্গে রোগেরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা।
সীমান্তে কড়াকড়ি জেলা প্রশাসনের
আর সেখানে দাঁড়িয়ে এবার কড়া হল জেলা প্রশাসন। সীমান্ত পেরতে গেলে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হল। বিশেষ করে ওড়িশার দিক থেকে বাংলায় আসতে গেলেই পরীক্ষা দিতে হবে। একই সঙ্গে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যাও। কড়া হাতে নাকা তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রামনগর ১ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও উৎপল রায় জানিয়েছেন, দিঘাতে ঢোকার সময়ে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেই তাঁকে বাংলায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের বাসিন্দা কিন্তু পজিটিভ এসেছে। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন উতপলবাবু। তবে ওডিশার কোনও মানুষকে এখন দিঘাতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। একেবারে বাশ দিয়ে সীমান্ত আটকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জয়েন্ট বিডিও।
দিঘাতে প্রস্তুত হাসপাতাল
সেভাবে এখন দিঘাতে পর্যটক নেই। কিন্তু সেখানকার মানুষের কথা ভেবে তৈরি রাখা হয়েছে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। যদিও পূর্ব মেদিনীপুরে আতঙ্কের কোনও ছবি নেই। সেখানে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনেই রয়েছে। কিন্তু কোনও ভাবেই রিস্ক নিতে চান না জেলা প্রশাসন। আর সেই কারনে হাসপাতালে ২০ বেডের কোভিড ইউনিট চালু হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে সেফ হোমেরও ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।