পুজো শুরু হল আসানসোলের সালানপুরের এথোড়ার পুইতণ্ডি পরিবারে
মহালয়া এখনও বাকি দিন চার দিন। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া। সেদিন থেকেই পিতৃপক্ষের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে দেবীপক্ষের শুরু। কিন্তু তার আগেই পঞ্জিকা মতে আসানসোলের সালানপুরের এথোড়ার পুইতণ্ডি শুরু হয়ে যায় দুর্গাপুজো। জিতাষ্টমীর পরের দিন দেবী দুর্গার আবাহন হয়ে আসছে আড়াইশো বছরের বেশি সময় ধরে। সেই নিয়মেই পুইতুন্ডি পরিবারে দেবীকে আবাহন করা হয়।

জানা গিয়েছে, পরিবারের পুজো কৃষ্ণ নবমী থেকে শুরু হয়। যা চলে শুক্লা নবমী পর্যন্ত। মূলত রঘুনন্দন দুর্গোৎসব তত্ত্ব ও নান্দিকেশ্বর পূরাণ মতে পুজো করা হয়। বোধন হওয়ার পর থেকেই নিত্যপুজো ও সন্ধ্যারতির মধ্যে দিয়ে দেবীর আবাহন সম্পন্ন হয়। আর মহালয়ার পর থেকেই প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী পর্যন্ত দুর্গাকে নিত্য নতুন দ্রব্যাদি উৎসর্গ করা হয়। আরও জানা যায়, তারপর সাধারণত যে নিয়মে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর পুজো হয়ে থাকে, সেই নিয়মেই পুজো চলে পুইতণ্ডি পরিবারেও।
পরিবারের অন্যতম সদস্য প্রসেনজিৎ পুইতণ্ডি বাড়ির আড়াইশো বছরের দূর্গাপুজো নিয়ে বলেন, অষ্টমীতে ছাগ বলি করা হয়। নবমীতে এই পরিবারে মোষ বলির প্রথা এখনও চালু রয়েছে। পরিবারের মহিলারা অষ্টমীতে সারারাত জেগে থাকেন। অষ্টমীর খ্যানে তারা কাজল পড়েন। অষ্টপদের গান গাওয়ার রেওয়াজ আছে এখানে। এথোড়া গ্রামে এখন সব মিলিয়ে ৬২টি পুইতণ্ডি পরিবার রয়েছে। সদস্য সংখ্যা সাড়ে ৫০০র বেশি। সকলে মিলে দেবীর বোধন সারলেন শুক্রবার। সেই সঙ্গে সঙ্গে এ দিন থেকেই শুরু হয়ে গেল পুজো।
তবে এ বছর করো না পরিস্থিতির জন্য তেমন লোক সমাগমের ব্যাপার নেই। পরিবারের সদস্যরাই মিলে বাড়ির মধ্যে করোনা বিধি মেনে আয়োজন করেছে পুজোর। বাইরে থেকে আসা আত্মীয়-স্বজনরাও এবছর করোনার গিয়ে আটকে পড়েছে। তাই পুজো শুরু হলেও আরম বরের সঙ্গে এবার আগের মত সভায় উপস্থিত থাকতে পারছে না।
