মহালয়ায় পুজো শুরু ও শেষ, এক অন্যরকম পুজোর সাক্ষী আসানসোলের ভেদুয়া গ্রাম
মহালয়ার পুণ্য লগ্নে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটল, শুরু হল মাতৃপক্ষের। সেই সঙ্গে সূচনা হয়ে গেল বঙ্গে মা দুর্গা আসার অধীর প্রতীক্ষা। তবে বৃহস্পতিবার মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পুজো শুরু হলেও, দুর্গাপুজো হতে এখনও বেশ অনেকটা সময় বাকি। কিন্তু এই গ্রামের নিয়ম একটু অন্যরকমের। এখানে একদিনেই পুজো শুরু ও শেষও হয়ে যায়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বার্নপুরে এমনই এক পুজো হয়। যা মহালয়ায় শুরু হয়ে ওইদিনই শেষ হয়ে যায়।

বার্নপুরের ভেদুয়া গ্রাম, এখানে মহালয়া ও দুর্গাপুজো মিলেমিশে একাকার। মহালয়ার দিন থেকেই শুরু হয় এখানে দুর্গাপুজো, একদিনেই ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর পুজো সেরে মাকে বিদায় জানানো হয়। সারাদিন ধরে পুজো হয়ে সন্ধ্যায় পুজো শেষ হয়। লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে যে ১৮৬৯ সালে কালীকৃষ্ণ সরস্বত মহাশয় নামে এক সাধু এই পুজোর সূচনা করেন। তারপর থেকেই নিয়ম–নিষ্ঠা মেনে এখানে প্রত্যেক বছর পুজো হয়।
এখানে একেবারেই ছোট একচালার দুর্গাপ্রতিমায় পুজো হয়। লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক কেউই থাকেন না। এমনকী অসুরও দেখা যায় দেবীর পাদতলে। শুধু দু’পাশে থাকে দেবীর দুই সখী জয়া ও বিজয়া। মহালয়ার দিন ভোরে ঢাক বাজিয়ে নব পত্রিকা স্নানের মাধ্যমে পুজোর সূচনা হয় এবং সন্ধ্যাতেই দশমীর পুজো সারা হয়ে যায়। একদিনের এই পুজো গ্রামবাসীরা দারুণভাবে উপভোগ করেন।
