ভগ্নপ্রায় অবস্থা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মীরা
ভগ্নপ্রায় অবস্থা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মীরা
কোনও সরকারি চাকরি নয়, ঠিকাদারের অধীনে কাজ করেন কৃষ্ণকান্ত দাস ও মতিলাল দত্ত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন ওই দুই ব্যক্তি। শুধুমাত্র তাঁদের স্ত্রী ও সন্তানদের মুখে অন্ন জোগাতে। তবে এই দুই ব্যক্তির কোনও বিপদ হলে, তার দায় সরকার না ঠিকাদার নেবেন, এখন এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের কাছে।
এই দুই ব্যক্তি ভাটিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। কৃষ্ণবাবুর পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের বউ। বাড়ির ওপরে থাকেন মতিলাল বাবু ও তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে। কৃষ্ণকান্ত দাস ও মতিলাল দত্ত এরা দু'জনই ভাটিবাড়ী জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অস্থায়ী কর্মী। ঠিকাদারের হয়ে কাজ করেন। তাই তাঁদের যতই সমস্যা হোক তাঁরা সামান্য মাইনে দিয়েই কোনভাবে সংসার চালান। কিন্তু এই দুই ব্যক্তির কোনও অঘটন ঘটলে এই দুই পরিবারের দায়ভার কে নেবে, সরকার না ঠিকাদার এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আসলে বিষয়টা হল এখানকার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের বাড়ির অবস্থা ভগ্নপ্রায়। যে কোনও মুহূর্তেই বাড়ি ধসে পড়তে পারে। এই ঝুঁকি মাথায় নিয়েই কাজ করেন সবাই।
ভাটিবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির সংলগ্ন জনবহুল এলাকায় বাস স্ট্যান্ডে কাছে একটি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর রয়েছে। এখানে একটি মাত্র ঘর, সেই ঘরে রয়েছে বিভিন্ন আসবাবপত্র। এই ৬ ফুট বাই ১০ ফুট ঘরের মধ্যে দুটি চেয়ার, একটি টেবিল, এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন বিদ্যুতের সরঞ্জাম। বর্ষাকালে এই ঘরে ঢোকার মতো কোনো পরিস্থিতি থাকেনা। ছাদের থেকে জল পড়ে। ফলে কর্মীরা যে কোনও মুহূর্তে ঘরের মধ্যেই বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা কাজ করে চলেছেন সামান্য টাকার বিনিময়ে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জমির পরিমাণ আট ডেসিমাইল। কিন্তু সেই জায়গাটি আগাছায় ভরে গিয়েছে, এমনকী সেই জঙ্গলে বিষধর সাপের বাস।
এমনও দেখা গিয়েছে সেই সাপের বাসার উপর দিয়ে গিয়ে তাঁদেরকে জল ছাড়ার কাজ করতে হয়। কর্মীদের পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়ার জন্য ৪ মাস আগে থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর এর আধিকারিক এসে খোঁজ খবর নিয়ে গেছেন। এর পর আর কোন হদিস নেই এই আধিকারিকদের। কৃষ্ণ কান্ত বাবু বলেন, 'আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন। কবে হবে বলা যাবেনা।' তবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কবে হবে এই ঘর সংস্কার তা কেউই বলতে পারছেনা।