তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন কামদুনির প্রতিবাদী শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়
কামদুনিতে একটি অপরাধমূলক ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েক বছর আগে ঘটে যাওয়া জন আন্দোলনের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ ছিলেন তিনি। সেই সুবাদে রাজ্য সরকারের রোষের মুখেও একসময় পড়তে হয়েছিল কামদুনির প্রতিবাদী শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়কে। সেই প্রতিবাদী শিক্ষকই এবার নাম লেখাতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

রাজ্যের শাসকদলে যোগদানের আবেদন নিয়ে তিনি ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে হাতে চিঠি তুলে দিয়ে এসেছেন। তাঁর কথায়, 'বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দল এরাজ্যের ক্ষমতায় এলে জাতপাতের বৈষম্য আরও বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সেকথাই জানিয়ে এসেছি।
প্রদীপবাবুর কথায়, আমি বলেছি আপনার মতো মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থেকে তৃণমূলের হয়ে জনগণের কাজ করতে চাই। প্রদীপ মুখোপাধ্যায় এমাসেই শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসর নেবেন। তখন হাতে অনেক সময় পাবেন বলেই দলের হয়ে কাজ করতে চাইছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, আমি একজন বিশ্বস্ত সৈনিকের মতো তৃণমূলের কাজ করতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ও চিঠি দিয়ে একথাই জানিয়ে এসেছেন এই প্রতিবাদী শিক্ষক।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দেখে বলেন, আপনি এসেছেন, খুব ভালো লাগছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাজ্যের মন্ত্রী নির্মল মাজি ও তৃণমূল নেত্রী কৃষ্ণা চক্রবর্তীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেছেন কামদুনির প্রতিবাদী শিক্ষক।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৭ জুন কলেজ থেকে ফেরার পথে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। কামদুনির প্রাচীর ঘেরা একটি জায়গায় তাঁকে দুষ্কৃতীরা গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করে বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক মূলক শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠে কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চ। সেই মঞ্চকে সামনে রেখে একের পর এক আন্দোলন গড়ে ওঠে। সেই আন্দোলনেরই অন্যতম মুখ ছিলেন কামদুনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। এবার তিনি শাসক দলের হয়ে গলা ফাটাবেন।