ক্লাসের পর কাটে রাস্তায়, হস্টেলের দাবিতে প্রোক্টর-অধ্যাপক ঘেরাও বিশ্বভারতীতে
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের জন্য কোনও হস্টেল বরাদ্দ নেই। ফলে ক্লাসের পর তাদের রাস্তায় সময় কাটাতে হয়। তাই হস্টেলের দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছেন পড়ুয়ারা।
টানা দু-দিনভর তালাবন্দি প্রোক্টর-সহ বিশ্বভারতীর অধ্যাপকরা। হস্টেলের দাবিতে বিশ্বভারতীর ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগের পড়ুয়ারা মঙ্গলবার থেকেই ঘেরাও করে রাখেন প্রোক্টর ও আট অধ্যাপককে। বুধবারও সেই ঘেরাও কর্মসূচি চালাতে থাকেন পড়ুয়ারা।
আন্দোলনকারী
পড়ুয়াদের
অভিযোগ,
তাঁদের
জন্য
কোনও
হস্টেল
বরাদ্দ
নেই।
ফলে
ক্লাসের
পর
তাদের
রাস্তায়
সময়
কাটাতে
হয়।
এই
সমস্যার
কথা
দীর্ঘদিন
ধরেই
জানানো
হচ্ছে
কর্তৃপক্ষকে।
কিন্তু
তা
সত্ত্বেও
কোনওরকম
ব্যবস্থা
নেওয়া
হয়নি।
তাই
হস্টেলের
দাবিতে
তাঁরা
বিক্ষোভ
কর্মসূচিতে
নামেন।
বাধ্যতামূলকভাবেই
তাঁদের
এই
বিক্ষোভের
রাস্তা
নিতে
হয়েছে।
সারাদিনের
ক্লাসের
ধকল
সামলে
একটু
বিশ্রামের
জন্য
তাঁদের
হস্টেলের
প্রয়োজন।
কিন্তু
এই
সমস্যার
কথা
আদৌ
বুঝছে
না
কর্তৃপক্ষ।
প্রায় দু-দিনভর ঘেরাও অবস্থায় কাটছে প্রোক্টর ও আট অধ্যাপকের। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা অধ্যাপকও রয়েছেন। তাই তীব্র সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রোক্টর অমিত হাজরা বলেন, '১০৮ জন ছাত্রকে একসঙ্গে হস্টেলে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। পড়ুয়ারা চাইছে, সবাইকে একসঙ্গে হস্টেলে জায়গা দেওয়া হোক।'
তিনি বলেন, 'বিশ্বভারতীতে ১১টি ভবনে অনেক বিভাগ রয়েছে। সেখানে অনেক ছাত্র। সবার কথাই আমাদের ভাবতে হবে। আমরা ৩৮টি আসন দিতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবি থেকে কিছুতেই সরছে না। তাঁদের ১০৮টি আসনই চাই। এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এই দাবি মেটানো একপ্রকার অসম্ভব হয়েছে দাঁড়িয়েছে আমাদের।'