For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী হলেও প্রিয়রঞ্জনই ছিলেন জ্যোতি বসুর প্রধান ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’

কেন নিজেদের দলের নেতা থেকে শুরু করে বিরোধীদের কাছেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল অপরিসীম? তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবনের দিকে চোখ ফেরালেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে অচিরেই।

Google Oneindia Bengali News

ন-বছরের জীবনযুদ্ধ শেষ। সুন্দর পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে অবশেষে কিংবদন্তি কংগ্রেস নেতা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। রেখে গেলেন অনেক স্মৃতি, অনেক কাজের স্বাক্ষর। তাঁর রাজনৈতিক বর্ণময় জীবনের ইতি ঘটেছিল ২০০৮ সালেই। তবু তিনি ছিলেন। সেটাই স্বস্তি ছিল কংগ্রেসের কাছে। আজ তাঁকে হারিয়ে বাংলা তথা ভারতীয় রাজনীতিতে তৈরি হল শূন্যস্থান।

সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী হলেও প্রিয়রঞ্জনই ছিলেন জ্যোতি বসুর প্রধান ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’

[আরও পড়ুন:প্রয়াত প্রিয়, স্যোশাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশে নিরুত্তাপ তাবড় কংগ্রেস নেতারা][আরও পড়ুন:প্রয়াত প্রিয়, স্যোশাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশে নিরুত্তাপ তাবড় কংগ্রেস নেতারা]

কিন্তু আজও কেন এত সমাদর তাঁর? রাজনৈতিক কর্মক্ষমতা তো সেই কবে হারিয়েছেন। তবু কেন এত গুণগ্রাহী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আজও তাঁকে স্মরণে রেখেছেন? কেন নিজেদের দলের নেতা থেকে শুরু করে বিরোধীদের কাছেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল অপরিসীম? তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবনের দিকে চোখ ফেরালেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে অচিরেই।

সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী হলেও প্রিয়রঞ্জনই ছিলেন জ্যোতি বসুর প্রধান ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’

বাংলায় তখন নকশাল আন্দোলন চলছে। ক্ষমতায় যুক্তফ্রন্টের সরকার। সেই টালবাহানাময় পরিস্থিতিতে তরুণ-তুর্কি নেতা হিসেবে উত্থান হয়েছিল প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির। ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে যুব কংগ্রেসকে একার দক্ষতায় তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। ওই স্বল্প বয়সেই তিনি নিজেকে জ্যোতি বসুর সমকক্ষ নেতা হিসেবে তুলে ধরেছিলেন।

বলা যায়, তাঁর নেতৃত্বগুণেই বাংলায় যুক্তফ্রন্ট সরকারের অবসান ঘটিয়ে কংগ্রেস সরকার ফিরে এসেছিল রাজ্যে। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অবসান ঘটেছিল অজয় মুখোপাধ্যায় ও জ্যোতিবসুর জোট সরকারের। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সরকার গড়ার নেপথ্য কারিগর ছিলেন এই যুব নেতাই।

সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী হলেও প্রিয়রঞ্জনই ছিলেন জ্যোতি বসুর প্রধান ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’

১৯৭০ সালে প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আগে ছাত্র আন্দোলন করে চষে বেরিয়েছিলেন গোটা বাংলায়। ছাত্র পরিষদকে এক অন্য মার্গে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়-সুব্রত জুটি। আর তিনি যুব-র দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলায় কংগ্রেসের জমানা ফিরে এসেছিল আবার। ৭২ সালে কংগ্রেস সরকার প্রতিষ্ঠার পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তার প্রমাণ, সেবার ৮৩ জন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন যাঁদের বয়স ছিল ৩০ বছরের নীচে। তাঁদের উত্থান হয়েছিল দক্ষ সংগঠক প্রিয়রঞ্জনের হাত ধরে।

রাজ্য রাজনীতির আঙিনায় তিনি নিজেকে আটকে রাখেননি। তাঁর লক্ষ্যে ছিল জাতীয় রাজনীতি। তাই অবলীলায় তিনি রাজ্যের দায়ভার সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের উপর দিয়ে নিজেকে সংসদীয় রাজনীতিতে সামিল করেছিলেন। একটা সময় তাঁকে ইন্দিরা গান্ধীর পর দেশের সবথেকে শক্তিমান কংগ্রেস নেতা ভাবা হত। রাজ্য-রাজনীতিতে থাকলে তিনিই হতেন জ্যোতিবাবুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত ছিল না রাজনৈতিক মহলের।

তিনি যখন ডাকসাইটে যুবনেতা, তখনই ৭১ সালে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতা থেকে। ৮৪-তে তিনি ফের কংগ্রেসের সাংসদ নির্বাচিত হন হাওড়া থেকে। তারপর ৮৯ ও ৯১ সালে পর পর দুবার তিনি পরাজিত হন। ৯৬ সালে ফের হাওড়া থেকে তিনি নির্বাচিত হন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। তারপর ৯৯ ও ২০০৪ সালে তিনি লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন রায়গঞ্জ থেকে। এরই মধ্যে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছিলেন দু-বার। আর শুব অল্প বয়সেই সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতিও হয়েছিলেন তিনি।

[আরও পড়ুন:প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্মৃতিচারণায় তাঁর ছাত্র রাজনীতির সময়কার নানা ঘটনা তুলে ধরলেন পার্থ][আরও পড়ুন:প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্মৃতিচারণায় তাঁর ছাত্র রাজনীতির সময়কার নানা ঘটনা তুলে ধরলেন পার্থ]

১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধী সরকারে তিনি প্রথমবার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হয়েছিলেন। মন্ত্রী হিসেবে তিনি কেন্দ্রীয় বাণিজ্য, জলসম্পদ, সংসদ বিষয়ক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন। সংসদীয় রাজনীতি ছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রক তিনি সামলেছেন দক্ষতার সঙ্গে। তাঁর কাজের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন সরকারে। তাছাড়া অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে তাঁর ২০ বছরের জমানায় ভারতীয় ফুটবলের উন্নয়নে তাঁর দক্ষতার ছাপ রেখেছিলেন।

২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে পুজোর ঠিক পরেই নিজের কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের তত্ত্বাবধানে তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমসে। কিন্তু অবস্থার তেমন উন্নতি না ঘটায় তাঁকে এইমস থেকে ইন্দ্রপ্রস্থের অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ২৬০৫বি কেবিন ছিল তাঁর অন্তিম ন-বছরের ঠিকানা। গত একমাস ধরে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে তিনি বিদায় নিলেন।

[আরও পড়ুন:আগামীকাল রায়গঞ্জে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ][আরও পড়ুন:আগামীকাল রায়গঞ্জে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ]

English summary
Priyaranjan Dasmunsi became the chief competitor of Jyoti Basu. His political career was so bright
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X