নবান্নের নির্দেশে বন্ধ হচ্ছে বেসরকারি স্কুলের দরজা! অনলাইনেই ফিরছে পড়াশুনা
গত কয়েকদিন ধরে প্রবল দাবদাহ ছিল গোটা বাংলাতে। এই অবস্থায় ইতিমধ্যে সরকারি সমস্ত স্কুলে এগিয়ে আনা হয়েছে গরমের ছুটি। গত দু'তারিখ থেকে সরকারি সমস্ত স্কুলে এই ছুটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হলেই এখনও বেসরকারি স্কুলগুলি খোলা রয়েছে।

তা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর এরপরেই কড়া বার্তা নবান্নের তরফে।
আজ শুক্রবার থেকেই সমস্ত বেসরকারি স্কুলকে বন্ধ করতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অফলাইনে ক্লাস বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষদের। কিন্তু সরকারের স্কুল বন্ধের কথা বলা হলেও কেন তা বন্ধ করা হয়নি তা নিয়ে সরকারের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বেসরকারি স্কুলগুলিকে।
আর এরপরেই আজ শুক্রবার থেকে সমস্ত বেসরকারি স্কুলগুলিও গরমের ছুটির পথেই হাঁটল। তবে বেশ কয়েকটি স্কুলে অনলাইনে ক্লাস চলবে জানানো হয়েছে। সোমবার থেকে অনলাইনে বাড়িতে বসেই পড়াশুনা হবে। আর এরপরেই ছুটি ঘোষণা বলে বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে।
তবে গরমের ছুটি এগিয়ে আসা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ৪৫ দিনের ছুটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, করোনার জন্যে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। সেভাবে পড়াশুনাও হয়নি। সবেমাত্র স্কুলগুলি খুলতে শুরু করেছে। ছেলেমেয়েরাও আতঙ্ক কাটিয়ে স্কুলে যেতে শুরু করেছে।
এই অবস্থায় গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। তবে এর মধ্যেও বেসরকারি স্কুলগুলিকে চালানো হচ্ছিল। কিন্তু সরকারের কড়া নির্দেশের পরে আজ শুক্রবার থেকেও তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিইয়ার মাধ্যমে এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
অন্যদিকে ইতিমধ্যে সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। গরমের ছুটির অজুহাতে ৪৫ দিনের লম্বা ছুটিতে পড়াশুনা ক্ষতি হবে। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী রাজ্য ওডিশা যেখানে স্কুলে পড়াশুনা কমাচ্ছে সেখানে এই সরকার ছুটির পর ছুটি ঘোষণা করছে বলেও দাবি মামলাকারীর।

এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। খুব শিঘ্রই এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশনে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগে বাংলার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। সঙ্গে চলে প্রবল তাপপ্রবাহ। হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয় সাধারণের। যদিও মাত্র কয়েকদিন এই অবস্থা থাকলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ফলে এই ছুটি ঘিরে প্রথম দিন থেকেই বিতর্ক রয়েছে।