রাস্তায় নামেনি বেসরকারি বাস, সারাদিন দুর্ভোগ যাত্রীদের
রাস্তায় নামেনি বেসরকারি বাস, সারাদিন দুর্ভোগ যাত্রীদের
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসকে অগ্রাহ্য করে সোমবার রাস্তায় নামেনি একটিও বেসরকারি বাস। সপ্তাহের প্রথম দিনে দিনভর দূর্ভোগে যাত্রীরা। আগামী দিনেও এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলে আশঙ্কা যাত্রীদের।
গত শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেছিলেন কলকাতার ৬ হাজার বাসমালিককে তিনমাস ধরে ১৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে পরিবহন সমস্যা হবে না। কিন্তু বাসমালিকরা এই ভর্তুকি নিয়ে আদৌ খুশি নয়। তাঁদের বক্তব্য, এই টাকায় তাঁদের সমস্যা মিটবে না। উপরন্তু জেলার বাসমালিকরা কি দোষ করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। তাই জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের রবিবার ঘোষণা করে সোমবার থেকে শহর, জেলা কোথাও রাস্তায় বেসরকারি বাস নামবে না।
যেমন সিদ্ধান্ত তেমন কাজ। সোমবার দিন রাস্তায় নামেনি একটিও বেসরকারি বাস। ফলে দিনভর দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, মধ্য কলকাতার সব প্রান্তেই দুর্ভোগের ছবিটা একই। কোথাও বাদুড়ঝোলা, তো কোথাও ঘন্টার পর ঘন্টা বাসস্টপে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রীদের। তবে আগে থেকেই জানতে পারায় অনেকে বাসের ভরসা না করে বাধ্য হয়েছে সাইকেল বা মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে।
প্রসঙ্গত, ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় ৩টি বাস মালিক সংগঠন। বাস ভাড়া বাড়ালেই মিলবে স্থায়ী সমাধান। দাবি বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট-সহ ৩টি সংগঠনের। কলকাতা ও জেলার ২৭ হাজার বাসকেই দিতে হবে আর্থিক সাহায্য, দাবি বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট-সহ ৩টি সংগঠনের। এই দাবিতে রাস্তায় বাস নামাচ্ছে না জয়েন্ট কাউন্সিল। ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আগেই সরব হয়েছে ৮টি বেসরকারি বাস ও মিনিবাস সংগঠন। বেসরকারি বাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা দেখা করেন সরকার নিযুক্ত রেগুলেটরি কমিটির সাথে। ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব হবে না বলে দাবি বেসরকারি বাস সংগঠনের প্রতিনিধিদের।
সরকারের কাছে তারা যে রিপোর্ট পেশ করেছেন সেখানে উল্লেখ করেছেন, লকডাউনের আগে বাসে যাত্রী হত ৭৫৫ জন। তাদের থেকে টিকিট বিক্রি করে আয় হত ৫,৯৭০ টাকা। এখন সেখানে যাত্রী হচ্ছে ৩০০ জন। টিকিট বিক্রি করে মিলছে ২৩৭০ টাকা। অপরদিকে, মিনিবাসে যাত্রী হত ৪৫৫ জন। তা থেকে টিকিট বিক্রি করে পাওয়া যেত ৪,৩২৫ টাকা। এখন যাত্রী হচ্ছে ২০০ জন। আর টিকিট বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে ১,৮৮০ টাকা।
এই নিয়ে এদিন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ' আমাদের বাস মালিকদের কিছু করার নেই, মালিকরা তো আর লোকসান দিয়ে বাস চালাবে না। ডিজেলের দাম ৭৫ টাকা ছাড়িয়েছে। যাত্রী হচ্ছে না, ভাড়াও বাড়ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মাত্র ৬ হাজার বাস মালিকদের অনুদানের কথা বলছেন, বাকিরা কি দোষ করলো? ভাড়া না বাড়ালে এই পরিস্থিতিতে বাস চালানো সম্ভব নয়।'
ভিন রাজ্যে পাচার হওয়া দুই ছাত্রীকে ঘরে ফিরিয়ে দিল পুলিশ