প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে অভিযোগ, নজিরবিহীনভাবে ২০ জেলায় ডিআই বদলি
কলকাতা, ৫ এপ্রিল : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে কড়া হল রাজ্য সরকার। ২০টি জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শককে রাতারাতি বদলি করে দেওয়া হল। শিক্ষা দফতর আগেই এই ধরনের কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে বলে আভাস দিয়েছিল। এবার তা কাজেও করে দেখাল রাজ্য সরকার। একসঙ্গে ২০জন বিদ্যালয় পরিদর্শককে বদলির ঘটনা এক কথা নজিরবিহীন।
বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে জেলায় জেলায়। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নিয়ে রাজ্যব্যাপী যে অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই শাস্তির খাঁড়া নেমে এল বিদ্যালয় পরিদর্শকের উপর। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, শুধু কি বিদ্যালয় পরিদর্শকে বদলি করে এই অভিযোগের নিবৃত্তি ঘটানো যাবে? বিরোধীদের অভিযোগ, বিদ্যালয় পরিদর্শকে বদলি করে দুর্নীতি চাপা দেওয়া যাবে না।

শিক্ষা দফতর সূত্র জানানো হয়েছে, এটা একেবারেই রুটিন বদলি। এর সঙ্গে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগের কোনও সম্পর্ক নেই। তাহলে একসঙ্গে ২০ জেলায় এই বদলি কেন? তার যথাযথ উত্তর মেলেনি। শিক্ষা মহল মনে করছে, বহু সাধারণ প্রার্থীর কাছে পার্শ্বশিক্ষকের কোটায় চাকরির নিয়োগপত্র এসেছিল। এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দায়ী করেছিল প্রার্থীদেরই। বলা হয়েছিল, ফর্ম পূরণের সময় পার্শ্বশিক্ষকের ঘরে টিক দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীরা এরপর চাকরি হারিয়ে তুমুল বিক্ষোভ-আন্দোলনে নামেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া যত এগিয়েছে, এই বিতর্ক ততই বেড়েছে। এসে পড়েছে নানা অভিযোগ। এরই মধ্যে বিদ্যালয় পরিদর্শকরা শিক্ষা দফতরের কোপে পড়েছেন। তার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, বিদ্যালয় পরিদর্শকরাই ইন্টারভিউয়ের আগে স্ক্রুটনির দায়িত্বে ছিলেন। সেইমতো দায় বর্তায় তাঁদের উপরই। সেই কারণেই এই বদলির সিদ্ধান্ত।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আগে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ডিআইদের উপর দায় চাপানো হয়। আধিকারিকদের কর্তব্যে গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তখনই তিনি বদলির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিদ্যালয় পরিদর্শকদের।