একাধিক রাজ্যকে পিছনে ফেলে প্রাথমিক শিক্ষায় শীর্ষে বাংলা! শিক্ষক-অভিভাবকদের শুভেচ্ছাবার্তা মমতার
রাজ্যের মুকুটে ফের বড় পালক! গত কয়েক বছরের শাসনকালে একের পর এক পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কখনও বিশ্বস্তরে আবার কখনও খোদ কেন্দ্রের কোনও মন্ত্রক রাজ্যকে পুরস্কৃত করেছে। সম্প্রতি বাংলার দুর্গাপুজোক
রাজ্যের মুকুটে ফের বড় পালক! গত কয়েক বছরের শাসনকালে একের পর এক পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কখনও বিশ্বস্তরে আবার কখনও খোদ কেন্দ্রের কোনও মন্ত্রক রাজ্যকে পুরস্কৃত করেছে। সম্প্রতি বাংলার দুর্গাপুজোকে বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি দিয়েছেন ইউনেস্কো। যা বাঙালির কাছে সত্যিই বড় ব্যাপার।
এবার শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের তাবড় তাবড় রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যা রাজ্যবাসীর কাছে অবশ্যই গর্বের বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে থমকে গিয়েছে পড়াশুনা সেখানে রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক।
প্রাথমিক শিক্ষায় শীর্ষে পৌঁছে গেল পশ্চিমবঙ্গ। 'ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি ইনডেক্স' অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষা সূচক রাজ্যগুলির প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে বেশ কিছু সমীক্ষা চালায়। আর সেই সমীক্ষাতেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের বড় রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা। আর তা করে সবার উপরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
এমনটাই তথ্য জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরয়। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে তালিকাতে জায়গা পেয়েছে বিহার। অন্যদিকেও কেরলও রয়েছে এই তালিকাতে।
এই গর্বের খবর সামনে আসার পরেই টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই টুইট করে রাজ্যের শিক্ষকদের শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অভিভাবকদেরও শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি লিখেছেন, এই খবর পশ্চিমবঙ্গের জন্যে অবশ্যই ভালো একটি খবর।
ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউমারেসি ইনডেক্সের সমীক্ষা অনুযায়ী শীর্ষস্থান দখল করেছি। আর এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্যে সকল শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষা বিভাগের সদস্যদের অভিনন্দন বলে সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মুলত পাঁচটি মাপকাঠির উপরে এই সমীক্ষা চালানো হয়। দেশের বড় রাজ্যগুলিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থার তুলনামূলক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পশ্চিমবঙ্গকে 'সেরা' বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য। গত একবছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি চলছে। যার জেরে দীর্ঘদিন হয়ে হয়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। যদিও সম্প্রতি কলেজগুলি খুলতে শুরু করেছে। স্কুলে ক্লাস ৯ থেকে পড়াশুনা শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক এখনও বন্ধ। সেখানে দাঁড়িয়ে এই সিকৃতি সত্যিই গর্বের।
উল্লেখ্য, আগামী ১ লা জানুয়ারি ছাত্র দিবস হিসাবে পালনের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর আগেই প্রাথমিক শিক্ষায় শীর্ষে পৌঁছে গেল পশ্চিমবঙ্গ। তাও আবার বড় রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে। আগামী ১ তারিখ এই বিষয়ে সরকারের তরফে কোনও কার্যক্রম নেওয়া হয় কিনা সেদিকেই নজর।