আড়তে পড়ে টন টন মাছ, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ইলিশের দাম আরও কমতে পারে
টন টন ইলিশ ঢুকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কুলতলি, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমায়। অনেক সময়ই আড়তেই মেঝেতেই ইলিশ পড়ে থাকছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আগামী কয়েক দিনে আরও ইলিশ উঠবে
টন টন ইলিশ ঢুকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কুলতলি, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমায়। প্রতিদিন প্রায় হাজার টনের ইলিশ নিলাম করতে রাত কাবার হয়ে যাচ্ছে ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্র বাজারে। অনেক সময়ই আড়তেই মেঝেতেই ইলিশ পড়ে থাকছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আগামী কয়েক দিনে আরও ইলিশ উঠবে। এক্ষেত্রে দাম আরও পড়তে পারে।
মাস তিনেক আগেও আড়তে স্তুপিকৃত ইলিশের চিত্রটা ভাবাই যেত না। কিন্তু দিন কয়েক ধরে এই চিত্রটাই সামনে আসছে। অতিরিক্ত পরিমাণ ইলিশ সরবরাহের ফলে চাহিদার তুলনায় যোগান প্রায় আকাশ ছুঁয়েছে। হিমঘরেই আর ইলিশ মজুতের জায়গা নেই। কম দামেই ইলিশ বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন আড়ত মালিকরা। মাছ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, প্রায় দুযুগ বাদে এমন ঘটনা। পাইকারি বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, দিন কয়েক ধরে তাঁদের ক্রেতাদের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশই ইলিশ কিনতে আসছেন। মৎস্য দফতরের কর্তারা বলছেন, ইলিশের এখনকার দাম, গত এক দশকের মধ্যে সর্ব নিম্ন।
সারা বছরে ইলিশের কেজি অন্তত ৬০০ টাকার নিচে নামে না। কিন্তু এখন তা মৌরলা, চিংড়ি এমন কী কাটা রুই-কাতলাকে পর্যন্ত টেক্কা দিচ্ছে। দিন কয়েক আগে পাইকারি বাজারেও কেজি প্রতি ইলিশের দাম ছিল, প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। এখন সেই ইলিশ নিলাম হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। ওজন অনুযায়ী ইলিশের দাম খোলা বাজারে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।