লকডাউনে বিপাকে পড়েছে সুগার, প্রেশার সংক্রান্ত সমস্যায় জর্জরিত রোগীরা
লকডাউনে বিপাকে পড়েছে সুগার, প্রেশার সংক্রান্ত সমস্যায় জর্জরিত রোগীরা
২ মাস লক ডাউনে বিপাকে পড়েছেন সুগার, প্রেসার, কোলেস্টেরল, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ এবং রক্তের নানা সমস্যায় ভোগা বহু রোগী। অধিকাংশ মানুষই রক্ত ও রোগ পরীক্ষার জন্য নানা ল্যাবরেটরির উপর নির্ভরশীল। নিয়মিত সময় অন্তর রক্তে সুগার, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, হিমোগ্লোবিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করাতে হয় তাঁদের। ল্যাবরেটরির রিপোর্ট অনুযায়ী ওষুধ ঠিক করেন চিকিৎসকরা। অথচ উল্লেখযোগ্যভাবে বিভিন্ন ল্যাবরেটরি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে এইরকম নানান সমস্যায় ভোগা রোগীরা।
প্রত্যেক সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষা করাতে হয় বারাসাতের ওপেন হার্টের অপারেশন করা অমিত দাসের। রক্তের নমুনা দেখি ওষুধের মাপকাঠি ঠিক করে দেন চিকিৎসক। কিন্তু টানা দু'মাস লকডাউনের জেরে বাড়ি থেকেই বের হতে পারছেন না। এছাড়াও করোনা আতঙ্কে অধিকাংশ জায়গায় বন্ধ ল্যাবরেটরিগুলো।
প্রথম সারির এক অ্যানালিসিস সেন্টার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি আপদকালীন পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত। সরকারি গাইডলাইন মেনে সংস্থার কলকাতা, হাওড়া, শিলিগুড়ি ও আসানসোলের সমস্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে রাখা হয়েছে। তবে প্রতিটি সেন্টারেই রোগীর সংখ্যা কমেছে ৮০ শতাংশ। মানুষের হাতে কাজ নেই। অর্থও নেই। অনেকে সঞ্চয় ভেঙে জীবনযাপন করছেন।
কতদিন
লকডাউন
চলবে,
কেউ
বুঝতে
পারছেন
না।
ফলে
খুব
ইমার্জেন্সি
না
হলে
টেস্ট
করাতে
আসছেন
না।
এছাড়াও
করোনা
আতঙ্কের
জেরে
বন্ধ
করে
দেওয়া
হয়েছে
অধিকাংশ
ছোট
খাটো
ল্যাবরেটরি।
অনেকে
আবার
পরিবহণ
ব্যবস্থা
না
থাকা
ও
অন্যান্য
কারণে
ল্যাবরেটরি
পর্যন্ত
পৌঁছতে
পারছেন
না
তাঁরা।
ফলে
ল্যাবরেটরি
খুলে
রাখলেই
তো
হবে
না।
লকডাউনে পরিবহণ ব্যবস্থা স্তব্ধ। ল্যাব টেকনোলজিস্ট, সাধারণ মানুষ ল্যাবরেটরি পর্যন্ত পৌঁছবেন কী করে? ফলে অনেকে ছোটখাট ল্যাবরেটরি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
অন্যদিকে, শুধু টেস্ট করালেই চলবে না, চিকিৎসকের কাছে চেক-আপও জরুরি। সমস্যা হল, টেলিমেডিসিনের সুবিধা দেশের সব রোগীর পক্ষে নেওয়া অসম্ভব। এই ধরনের রোগীদের কথা ভেবে আইএমএ গাইডলাইন বের করেছে। তা মেনে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার খুলতে বলা হয়েছে।
আম্ফানের পর কালবৈশাখীর তাণ্ডব! হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে অশনি সংকেত কলকাতায়