অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণ, জনতার রোষে ডাক্তার, পরে গ্রেফতার
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল বেলা দশটা নাগাদ ওই মহিলা যান ডাক্তারের চেম্বারে। তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন এখনই সন্তান না নিয়ে গর্ভপাত করাতে। অভিযোগ, ওই ডাক্তার তাঁকে পরীক্ষা করার অছিলায় জোর করে পোশাক খুলে দেন। তার পর ধর্ষণ করেন। মহিলা বাধা দিতে গেলে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। অন্তত ঘণ্টাখানেক তাঁর সঙ্গে এই কুকর্ম করেন ওই অভিযুক্ত। এর পর ছাড়া পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ওই মহিলা বাড়ি চলে যান। সন্ধেবেলা তাঁর স্বামী বাড়ি ফিরলে সব বলে দেন। মুহূর্তে পাড়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা সন্ধে ৭টা নাগাদ ডাক্তারের চেম্বারে চড়াও হয়। প্রথমে চলে ভাঙচুর। তার পর টানতে টানতে রাস্তায় বের করে আনা হয় ওই চিকিৎসককে। লাথি, ঘুষি, কিল আছড়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। তখন পুলিশের সামনেই ওই ডাক্তার চিৎকার করে বলেন, তিনি নির্দোষ। 'সংকীর্ণ স্বার্থে' তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এ কথা শোনার পর আরও ক্ষেপে ওঠে জনতা। পুলিশের সামনেই আর এক দফা মারধর চলে। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী নিয়ে আসতে হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হলে জনতার ক্ষোভ প্রশমিত হয়। (আরও পড়ুন)
স্থানীয় মানুষ জানান, ওই ডাক্তার কয়েক বছর আগে একই ঘটনা ঘটিয়েছিল। তখন এক সিপিএম নেতার মধ্যস্থতায় টাকা দিয়ে ছাড় মিলেছিল। অভিযোগ, ওই ডাক্তারের মূল কাজই হল অবৈধভাবে গর্ভপাত করানো। এ নিয়ে এলাকায় কয়েকবার অশান্তিও পাকিয়েছে সংশ্লিষ্ট মেয়েদের পরিবার-পরিজন। জনতা অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করেছে।