তপন-মামলার অগ্রগতিতেই ‘টার্গেট’ প্রতিমাদেবী! আওয়াজ তুলল ‘আক্রান্ত আমরা’
শনিবার প্রতিমাদেবীকে যখন আদালতে পেশ করা হচ্ছে তখন শাসকদলের প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে সরব হলেন ‘আক্রান্ত আমরা’র অম্বিকেশ মহাপাত্র, মইদুল ইসলাম, শৈবাল মজুমদার, মন্দাক্রান্তা সেন-রা।
স্বামীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে অফিস আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, পৌঁছে গিয়েছেন দেশের শীর্ষ আদালতের অন্দরেও। সেই কারণেই মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হল প্রতিমা দত্তকে। বালির পরিবেশকর্মী নিহত তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমাদেবীকে গ্রেফতারের ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হানলেন 'আক্রান্ত আমরা'র সদস্যরা।
শনিবার প্রতিমাদেবীকে যখন আদালতে পেশ করা হচ্ছে তখন শাসকদলের প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে সরব হলেন 'আক্রান্ত আমরা'র অম্বিকেশ মহাপাত্র, মইদুল ইসলাম, শৈবাল মজুমদার, মন্দাক্রান্তা সেন-রা। হাওড়া আদালত চত্বরে তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়়েন। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান। অবিলম্বে প্রতিমাদেবীর মুক্তির দাবি তোলেন তাঁরা।
শনিবার সকালে প্রতিমাদেবীকে হাওড়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। কেবল ব্যবসায় চুরির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন হাওড়া আদালতে পেশ করার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পরই ফের তাঁকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হয় এদিন।
প্রতিমাদেবীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হয়ে 'আক্রান্ত আমরা'র আহ্বায়ক অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন, শাসকদল পুলিশকে ব্যবহার করছে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। স্বার্থে ঘা পড়লেই একের পর এক মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। যাঁরাই সরকারের বিরুদ্ধে বা শাসকদলের সদস্যদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন, তাঁরাই টার্গেট হয়ে যাচ্ছেন।
বিকাশ দত্ত নামে এক ব্যক্তি প্রতিমাদেবীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিলেন কেবল ব্যবসায় দুর্নীতির অভিযোগে। সেই মামলায় প্রতিমাদেবী আগাম জামিনের আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে। তাঁর বাড়ি থেকে প্রচুর কেবল তার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য প্রতিমাদেবী দীর্ঘদিন কেবল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সম্প্রতি ওই ব্যবসায় বেশ কিছু বেআইনি কার্যকলাপ তিনি করেছেন।
প্রতিমাদেবীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে খুনের ঘটনায় শাসকদলের একাধিক নেতার নাম জড়িয়েছে। তিনি তপন দত্ত হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের সাজা দিতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সেই লড়াই থামিয়ে দিতেই সুপরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যতই চেষ্টা করুন তিনি তাঁর স্বামীর হত্যাকারীদের সাজা দিয়েই ছাড়বেন।