তৃণমূল বিধায়করা ‘নজরবন্দি’! পান থেকে চুন খসলেই আসছে ফোন, জাল বিছিয়েছেন ‘পিকে’
লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক পরামর্শদাতা তথা ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে পরামর্শ কর তৃণমূল সুপ্রিমো জনসংযোগের নয়া তাস খেলেছেন।
লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক পরামর্শদাতা তথা ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে পরামর্শ কর তৃণমূল সুপ্রিমো জনসংযোগের নয়া তাস খেলেছেন। তা ব্যর্থ হতে দিতে চান না পিকে ওরফে প্রশান্ত কিশোর। তাই তিনি জাল বিছিয়েছেন রাজ্যের প্রতিটি কোণে।
‘দিদিকে বলো’তে নজরবন্দি বিধায়করা
বিধায়করা কার্যত নজরবন্দি হয়ে আছেন। ‘দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে কে কোথায় আছেন, কী করছেন, কখনও ঘুমোচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন- সব তাঁর নখদর্পণে। রাজ্যের যে প্রান্তেই হোক তৃণমূল বিধায়করা পিকে-র নজরদারি থেকে বেরোতে পারছেন না। ‘দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে কাউকে ছাড় নয়। এই জনসংযোগের সাফল্য ঘরে তুলতে তিনি বদ্ধপরিকর।
উঠতে যাবেন, অমনি ফোন
সম্প্রতি এক বিধায়ক আদিবাসী পরিবারে সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন ‘দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে। সেই বাড়িতেই তাঁর রাত কাটানোর কথা। কিন্তু বাড়িতে বিপদ শুনে তড়িঘড়ি কর্মসূচি গুটিয়ে ঘরে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন। তখনই এল ফোন। অমনি বাড়ি ফেরার তাগাদা গেল কমে। ১০টার আগে কর্মসূচি ছেড়ে বের হতে পারলেন না তিনি।
বিধায়ক টের পেয়েছেন ‘পিকে’র অস্তিত্ব
শুধু তিনিই নন, আরও এক বিধায়ক টের পেয়েছেন ‘পিকে'র অস্তিত্ব। ‘দিদিকে বলো' কর্মসূচির সমস্ত ছবি পর্যায়ক্রমে পাঠাতে হচ্ছে পিকে-র টিমের কাছে। তা করতে গিয়ে আগে পরে হয়ে গিয়েছিল দুটি ছবি। যে কর্মীর বাড়িতে রাতে খাওয়া-দাওয়া সারলেন বিধায়ক, খাএয়া-দাওয়ার পর তিনি কী করছেন। ঘুমিয়ে পড়ছেন নাকি বাড়ির শিশুদের সঙ্গে বা অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলছেন, তাও নজরে রাখছেন বিধায়ক।
পিকে-র নজরদারিতে নিযুক্ত
এখন প্রশান্ত কিশোরের টিমই স্থির করে দিচ্ছেন, কোন গ্রামে যেতে হবে বিধায়কদের। কাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কোন বাড়িতে রাতে খেতে হবে-তাও। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের দু-জনকে বেছে নেওয়া হচ্ছে বিধায়কের উপর নজরদারি রাখতে। আর তাঁদের মাধ্যমেই খবর চলে যাচ্ছে পিকে-র কাছে।