পরিযায়ী শ্রমিকরা কি শুধুই সংখ্যা! কেন্দ্র-রাজ্যের ভাবনায় বিস্মিত প্রশান্ত কিশোরের
পরিযায়ী শ্রমিকরা কি শুধুই পরিসংখ্যান, কেন্দ্র-রাজ্যের ভাবনায় বিস্মিত প্রশান্ত কিশোরের
করোনা ভাইরাসের মহামারী চলছে বিশ্বজুড়ে। ছাড় পায়নি ভারতও। আর করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সারা দেশ যখন লকডাউন, তখনই দেশের বুকে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। লকডাউনে পেটের জ্বালায় রেলপথ ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে মালগাড়িতে কাটা পড়ল ১৬ পরিযায়ী শ্রমিক। এরপরই এক তাৎপর্যপূর্ণ টুইট করলেন তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
পিকের টুইটে আক্ষেপ
এ প্রসঙ্গে প্রচার কৌশলী প্রশান্ত কিশোর তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন এবং মৃত্যু উভয় ক্ষেত্রেই নিছক পরিসংখ্যানে হ্রাস পাওয়া। তাঁদেরকে নিয়ে ভাবছে না কেউই। তাঁরা নিজেদের ভাগ্যের কাছে এবং সমাজের কাছেও স্রেফ করুণার পাত্র হয়েই রয়ে গিয়েছেন। কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় ক্ষেত্রেই সরকার তাঁদের জন্য এখনও কিছু করেননি।
লকডাউনে প্রাণ বাজি
করোনা লকডাউনে দেশ মহাসংকটে। ২৪ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে দেশে। টানা ৫৪ দিন লকডাউনের ৪৫ দিন অতিক্রান্ত। এই অবস্থায় দেড় মাসাবধিকাল ভিনরাজ্যে আটকে আছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। পেটের জ্বালায় তাঁরা এবার বাড়ি ফিরতে প্রাণ বাজি রাখতেও সিদ্ধহস্ত হচ্ছেন। লকডাউনে সমস্ত যানবাহন যখন বন্ধ, তখন হাঁটাপথ ধরেছেন তাঁরা।
লকডাউনের বিরুদ্ধে পিকে
এই অবস্থায় মালগাড়ি পিষে দিয়েছে তাঁদের জীবন। অনেকে একই পথ নিয়ে বড়ি ফিরতে গিয়ে অন্যভাবেও জীবন বলি দিচ্ছেন। কিন্তু সরকারের মনোভাবের কোনও পরিবর্তন নেই। পরিবর্তন নেই কঠিন সময়ে নেওয়া সিদ্ধান্তেরও। প্রশান্ত কিশোর বরবারই লকডাউনের বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি লকডাউনের আগে-পরে অন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন বারবার।
বিকল্প কী, উত্তর মেলেনি
তিনি এর আগে বহুবারই টুইট করে সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সরকার লকডাউনের বিকল্প কী ভেবেছে, তাও জানতে চেয়েছিলেন। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের সমালোচনায় ব্রতী হয়েছিলেন। এবং পরিযায়ী শ্রমিক ও ভিনরাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
'শ্রমিকরা রেল লাইনে শুয়ে থাকলে তার দায় কেন্দ্রের',বিতর্কে জড়ালেন দিলীপ