মমতার দলকে আগামী বিধানসভায় শিখরে পৌঁছে দিতে খাতা-কলম নিয়ে ঘুরছে টিম পিকে, সমীক্ষা শুরু
আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই টিম প্রশান্ত কিশোরের। প্রশান্ত কিশোরের টিম এবার বুথে বুথে ঘোরার পরিকল্পনা নিয়েছে। উপনির্বাচনে জিতে প্রথম পরীক্ষাতেই পাস করেছেন প্রশান্ত কিশোর।
আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের দলের। প্রশান্ত কিশোরের টিম এবার বুথে বুথে ঘোরার পরিকল্পনা নিয়েছে। উপনির্বাচনে জিতে প্রথম পরীক্ষাতেই পাস করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তা বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকছেন না তিনি। ব্যাগে খাতা-পেন নিয়ে দোরে দোরে ঘুরছেন 'আই প্যাকে'র সদস্যরা।
বিধায়ককে মানুষের ঘরে ঘরে পাঠিয়েছেন
প্রশান্ত কিশোর এসেই ‘দিদিকে বলো' কর্মসূচির উত্থাপন করেছিলেন। এই অভিযানের মাধ্যমে তিনি জনসংযোগে জোর দিয়েছিলেন। সমস্ত বিধায়ককে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার এই প্রয়াসে তিনি কাজের কাজ অনেকটাই যে সেরে ফেলেছিলেন, তার প্রমাণ মিলেছে উপনির্বাচনে। তিনটি কেন্দ্রেই জিতে বিজেপির বিজয়রথ আটকে দিয়েছিলেন তিনি।
টিমকে কাজে লাগাচ্ছেন জনসংযোগে
এবার সেই সাফল্য নিয়ে প্রশান্ত কিশোর এগিয়ে যেতে চাইছেন। সামনে পুরসভা ২০২০ ও বিধানসভা ২০২১-এর ভোট রয়েছে। তার আগে তিনি সবদিক গুছিয়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। শুধু পরামর্শ দিয়েই ক্ষান্ত থাকছেন না তিনি। তিনি নিজেও তাঁর টিমকে কাজে লাগাচ্ছেন জনসংযোগে।
ব্যাগে খাতা-কলম নিয়ে ঘুরছেন আই-প্যাক
টিম পিকে এবার এলাকায় ঘুরে ঘুরে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে বিধায়কদের সম্পর্কে ভোটারদের মতামত। ব্যাগে খাতা-কলম নিয়ে তাঁরা ঘুরছেন, নোট করছেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা জিজ্ঞাসা করছেন কিছু নির্দিষ্ট প্রশ্ন। এভাবেই সমীক্ষা চালাচ্ছে টিম পিকে। ইতমধ্যেই কোচবিহারে এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
বসে থাকা পুরনো তৃণমূল কর্মীদের খোঁজ
শুধু বিধায়কদের বিষয়ে মতামত নেওয়াই নয়, বসে থাকা পুরনো তৃণমূল কর্মীদের তাঁরা খুঁজে বের করছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাঁদের ফের কাজে লাগাচ্ছেন। একইভাবে কালিয়াগঞ্জেও কাজ করেছিলেন টিম পিকের সদস্যরা। কাজ করেছিলেন খড়গপুর সদর ও করিমপুরেও। তার জেরে সাফল্যও ধরা দিয়েছে।
টিম পিকের সদস্যরা নয়া কর্মসূচিতে
এবার বিধানসভা ধরে ধরে টিম পিকের সদস্যরা নামছেন এই কর্মসূচিতে। তবে সামনেই পুরসভা নির্বাচন রয়েছে। তারপর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন। মোট কথা বসে না থেকে পুরসভা ভোটের আগেই এই অভিযান প্রায় সেরে পেলতে চাইছে। তাহলে পুরসভার কাজেও লাগবে, আর বিধানসভার কাজেও লাগবে।
প্রতি বুথে ১০ জনকে বেছে নিচ্ছেন পিকে
এছাড়া টিম পিকে ময়দানে নেমে প্রতি বুথে ১০ জনকে বেছে নিয়েছে। তার মধ্যে থাকছেন তৃণমূলের সক্রিয় নেতা-কর্মী, আবার চাকরিজীবী, বেসরকারি সংস্থার কর্মী, সমাজের সংস্কৃতি সচেতন মানুষ এবং কৃষক, দিনমজুরাও থাকছে এই টিমে। মোট কথা বাংলার প্রতিটা বুথেই এখন নজর পিকের।
১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনালয় আইনের সংশোধন, মোদীকে চিঠি লিখে দাবি জানালেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী