নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনে কেন নিষ্ক্রিয় কংগ্রেস, টুইটে প্রশ্ন ভোট-কৌশলী পিকের
নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় গণ আন্দোলন সংঘটিত করতে কেন সক্রিয় নয় কংগ্রেস। প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের ভোট পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর।
নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় গণ আন্দোলন সংঘটিত করতে কেন সক্রিয় নয় কংগ্রেস। প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের ভোট পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্ত কিশোর টুইট করেন, পথে-প্রতিবাদে কোথাও নেই কংগ্রেস। এমনকী নাগরিক আন্দোলনেও কোথাও কংগ্রেসকে দেখা যাচ্ছে না। কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীরাও এগিয়ে আসেননি এর বিরোধিতায়।
প্রশান্ত কিশোর বলেন, কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীদের অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে মিলিত হয়ে এই আন্দোলনকে আরও সঙ্ঘবদ্ধ রূপ দেওয়া উচিত ছিল। কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীরা কি অবিজেপিশাসিত রাজ্যের মতো এগিয়ে এসে বলতে পারছেন, তাঁদের রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন বা এনআরসি কিছুই হবে না। তাঁরা আগে জোর গলায় বলুক, তাঁদের রাজ্যে এই আইন কার্কর হবে না।
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে পিকের সঙ্গে তাঁর দল জেডিইউয়ের তীব্র মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল। তারপর জেডিইউ প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর প্রশান্ত কিশোর জেডিইউ নিয়ে নিরস্ত্র হন, নিজেও নরম হন এনআরসি ইস্যুতে। জেডিইউকে সেরে তিনি এবার কংগ্রেসকে নিয়ে পড়েন।
এরই মধ্যে জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার সুর বদলে সাফ জানিয়ে দেন বিহারে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবে না। এনআরসিও হবে না। এদিকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রশান্ত কিশোর সরব হওয়ার পর কংগ্রেসও পাল্টা দেয়। সোনিয়া ভিডিও-বার্তা টুইট করেন। জাতীয় সোশ্যাল মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর লাবণ্য বল্লাল টুইটে পাল্টা তোপ দাগেন প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, কীভাবে প্রশান্ত কিশোর বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিলেন, তা কি ভুলে গিয়েছেন তিনি। অতি দুর্বল তার মেরুদণ্ড। তিনি কী করে কংগ্রেসের সমালোচনা করেন। আরজেডিও পিকের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। নীতীশ কুমারকে গিরগিটির সঙ্গে তুলনা করে আরজেডি। তারা বলে, পিকে তাঁর আত্মা জেডিইউয়ের কাছে বেচে দিয়েছে।