মোদী সরকার শুধু বোকা বানাচ্ছে, ধোঁকাও দিচ্ছে! পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখালেন পিকে
মোদী সরকার শুধু বোকা বানাচ্ছে, ধোঁকাও দিচ্ছে! পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখালেন পিকে
করোনা ভাইরাস নিয়ে ধোঁকা দিচ্ছে কেন্দ্রের সরকার। লকডাউনের আগে-পরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, নীতি আয়োগ আগে একটা পরিসংখ্যান দিয়েছিল ১৬ মে শূন্যে নামবে করোনা সংক্রমণের রেখাচিত্র। আজ ৫৪ দিন লকডাউন কাটানোর পর দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ আকাশ ছুঁয়েছে।
তখনও লকডাউন শুরু হয়নি
প্রশান্ত কিশোর তথ্য তুলে ধরে দেখিয়েছেন- ২০ মার্চের ছবি। তখনও লকডাউন শুরু হয়নি দেশে। কয়েকটি রাজ্য লকডাউন শুরু করেছে আর ২৪ মার্চ লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওইদিন করোনা সংক্রমণ ছিল ১৯১। দেশের মাত্র ৭০টি জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।
|
লকডাউনের তৃতীয় পর্বের শেষে
তারপর লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। ধাপে ধাপে তিনটি লকডাউন পর্ব কাটিয়ে ফেলেছে দেশ। প্রথম দফায় ২১, তারপর ১৯ এবং তৃতীয় দফায় ১৪ দিন। ফের চতর্থ দফায় লকডাউন ঘোষণার অপেক্ষা আর এই পরিস্থিতিতে ১৭ মে-র চিত্রটা সত্যিই ভয়ের। এদিনের ছবি, করোনায় আক্রান্ত ৯০ হাজার ৯২৭। ৫৫০ জেলায় তা ছড়িয়ে গিয়েছে।
লকডাউন আর শুধু ভাঁওতা
এই অবস্থায় পিকের প্রশ্ন, তাহলে লকডাউন করে হলটা কী? কী উপকার হল দেশের। কী করেই বা ১৯১ থেকে ৯০,৯২৭ হয়ে গেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিসংখ্যানই বলছে, মোদী সরকার ডাহা ফেল। লকডাউন করোনা সংক্রমণ রোখার শুধুমাত্র পথ নয় বলে আগেও একাধিকবার সরব হয়েছিলেন তিনি।
|
নীতি আয়োগের বোকা বানানো গ্রাফ
এমনকী পিকে প্রশ্ন করেছিলেন মোদীর উদ্দেশ্যে, প্রধামন্ত্রীর কাছে বিকল্প কোনও উপায় আছে কী! সদুত্তর পাননি তিনি। এখন আবার পিকে নীতি আয়োগের ২ এপ্রিল করা একটি গ্রাফ তুলে ধরে প্রশ্ন করেছেন, বোকা বানানো হয়েছিল করোনার সম্ভাব্য পরিসংখ্যান নিয়ে। বলা হয়েছিল ১৬ মে শূন্যে নেমে যাবে সংক্রমণ। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তা শুধুই স্বপ্ন। কেননা এখন প্রতিদিনই চার থেকে পাঁচ হাজার করে বাড়ছে সংক্রমণ।
তেলেনিপাড়ায় নির্দোষ হিন্দুদের বিরুদ্ধে মামলা! পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ