প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের রিপোর্ট, ২০২১-এ কত তৃণমূল বিধায়ক বাদ পড়তে পারেন, মিলল ইঙ্গিত
পাখির চোখ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ধাক্কা খেতেই প্রশান্ত কিশোরকে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে নিয়োগ করে তৃণমূল।
পাখির চোখ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ধাক্কা খেতেই প্রশান্ত কিশোরকে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে নিয়োগ করে তৃণমূল। তারপর থেকে সারা রাজ্যে কাজ শুরু করে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। ইতিমধ্যে তারা পুর নির্বাচন এবং দিদি বলো নিয়ে একদফা রিপোর্ট তৈরি করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে ৮০ শতাংশের মতো বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিকা এখনও মানেননি।
ব্যর্থ তৃণমূলের ৮০ শতাংশ বিধায়ক
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক রিপোর্ট দিয়েছে, রাজ্যে তৃণমূলের ৮০ শতাংশ বিধায়ক দিদিকে বলো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মানতে পারেননি। প্রসঙ্গত ২১১ জন বিধায়ক রয়েছে তৃণমূলের।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে উপেক্ষা
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ে, সুব্রত বক্সির উপস্থিতিতে প্রশান্ত কিশোর রিপোর্ট পেশ করেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অধিকাংশ বিধায়ক স্থানীয় জনগণের কাছে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে। দিদিকে বলোর কর্মসূচিতে ছিল, স্থানীয় কোনও কর্মীর বাড়িতে রাত কাটানো, সকালে এলাকায় জাতীয় পতাকা তোলা, দলমত নির্বিশেষে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলা। এই তালিকায় বিধায়ক ছাড়াও মন্ত্রীরাও ছিলেন।
কর্মক্ষমতা যাচাই
এক বিধায়ক জানিয়েছেন, দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়ে কোনও বিধায়ক রিপোর্ট জমা দিলেই, তা ক্রসচেক করেছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। সেই কাজেই মধ্যে দিয়েই বিধায়কদের কর্মক্ষমতা যাচাই করা হয়ে গিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার।
১২ জানুয়ারির মধ্যে কর্মসূচি শেষ করতে নির্দেশ
প্রসঙ্গত দিদিকে বলো কর্মসূচিতে সাতটি পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর বিষয়টি নির্দিষ্ট করেছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। তবে যেসব জায়গায় কর্মসূচি শেষ করা যায়নি, সেসব জায়গায় ১২ জানুয়ারির মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা এমনটাই জানিয়েছেন।