প্রশান্ত কিশোরই এখন ‘বাধা’ নেত্রী মমতার কাছে! সমীক্ষায় কঠিন তৃণমূলের জাল বিছানো
প্রশান্ত কিশোরকে তৃণমূল কংগ্রেস এনেছে ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দিতে। তৃণমূলে ভোট কৌশলীর দায়িত্ব নিয়েই বিজেপিকে পাল্টা দেওয়া শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে তৃণমূল কংগ্রেস এনেছে ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দিতে। তৃণমূলে ভোট কৌশলীর দায়িত্ব নিয়েই বিজেপিকে পাল্টা দেওয়া শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তিনি এমন কিছু অভিনব কর্মসূচি রূপায়ণ করেছেন যে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রভূত লাভবান হয়েছে প্রচার-পরিকল্পনায়।
বাধার প্রাচীর প্রশান্ত কিশোরের সমীক্ষা রিপোর্ট
প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনার তেমনই একটা অঙ্গ হল সমীক্ষা। সমীক্ষা রিপোর্টে তিনি এমন অনেক হেভিওয়েটের নাম তুলে দিয়েছেন নেতৃত্বের হাতে, যাদের ভাবমূর্তি আদৌ উজ্জ্বল নয়। এখন ২০২১ নির্বাচনের আগে রদবদলে তাঁদেরকে নিয়েই বিপাকে পড়েছে তৃণমূল। বাধার প্রাচীর হয়ে দেখা দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের ওই সমীক্ষা রিপোর্ট।
প্রশান্ত কিশোরের বাতিল করা নামের আধিক্য তালিকায়
রাজ্যস্তরে ও জেলাস্তরে রদবদলের পর ব্লকস্তরে রদবদল শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির যে তালিকা জেলা নেতৃত্বের তরফে পাঠানো হয়েছে, সেই তালিকায় প্রশান্ত কিশোরের বাতিল করা নামের আধিক্য। এই অবস্থায় তৃণমূলের শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা হয়েছে।
তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে জেরদার টানাপোড়েন
তৃণমূলে প্রশান্ত কিশোর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। তাই তাঁর সমীক্ষা উঠে আসা হেভিওয়েটদের নাম বাদ পড়েছে, যাঁদের ভাবমূর্তি জনমাসনে এখন উজ্জ্বল নয়। তারপর দলের তরফে যে তালিকা এসেছে, তার সঙ্গেও বিস্তর ফারাক। ফলে তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।
পিকের বার্তা উপেক্ষা করে অনুমোদন তৃণমূলের?
এই অবস্থায় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে ব্লকস্তরে রদবদলের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার অনুমোদনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পিকের রিপোর্ট। জেলার তালিকায় এমন অনেক নাম রয়েছে, যাঁদের ভাবমূর্তি নিয়ে সংশয়ের কথা দলকে জানিয়ে রেখেছেন প্রশান্ত কিশোর। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল কি পিকের সেই বার্তা উপেক্ষা করে অনুমোদন দেবে?
একুশে নির্বাচনের আগে ঝুঁকি হয়ে যাবে না তো!
দলের একটা অংশ ভাবছে, পিকের রিপোর্টকে মান্যতা দিয়ে যদি ওই তালিকা বদল করতে বলা হয়, তবে অনেক পুরনো সংগঠক বাদ যাবে। ২০২১-এর নির্বাচনের আগে তা বড় বেশি ঝুঁকি হয়ে যেতে পারে। তাই জেলার তালিকাকে অনুমোদন দেওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে দাবি করেন তাঁরা। কিন্তু অপর অংশ আবার স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পক্ষে।
দলের বিধায়করাও চিঠি পাঠিয়েছেন, বিরোধ-জল্পনা
আবার জেলা নেতৃত্বের পাঠানো তালিকা নিয়েও আপত্তি জানিয়ে অনেক চিঠি এসেছে রাজ্য দফতরে। দলের বিধায়করাই এই চিঠি পাঠিয়েছেন। ফলস্বরূপ দলে সংগঠনের নেতা ও জন প্রতিনিধিদের মধ্যে একটা বিরোধ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় শীর্ষ নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলে রদবদলে কড়া বার্তা মহাসচিবের!
তৃণমূলের মহাসচিব বলেন, যে সব জায়গায় সভাপতির ভাবমূর্তি ও সক্রিয়তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে, সেই সব জায়গায় বদল ঘটানো আবশ্যক। দল সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনমমতো সিদ্ধা্ন্ত নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এখন দেখার মমত বন্দ্যোপাধ্যায় উপরতলায় যেভাবে মসৃণভাবে রদবদল করেছেন, নিচুতলাতেও তেমন মসৃণভাবে রদবদল হয় কি না।
বিজেপিতে ভাঙন, একুশের নির্বাচনের আগে দলে দলে যোগদান তৃণমূল কংগ্রেসে